Adsterra

অটিজম : লক্ষণ, চিকিৎসা

অটিজম, লক্ষণ, চিকিৎসা, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, ডা আবিদা সুলতানা, Dr Abida Sultana, health, fitness, healthy life, bangla news, Top News, Hot News, T

প্যানক্রিয়াটিক বা অগ্ন্যাশয় হচ্ছে মানবদেহের একটা গ্ল্যান্ড, যেটি আমাদের পাকস্থলির পেছনে আঁড়াআঁড়িভাবে থাকে। এটির কাজ দুটোÑ ১. ইনসুলিন তৈরি করা; ২. হজমের রস তৈরি করা। অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না। যখন শরীরের অন্যান্য অঙ্গে বা চতুর্থ বা পঞ্চম ধাপে পৌঁছায়, তখন রোগটি শনাক্ত করা যায়। ফলে চিকিৎসা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।


লক্ষণ : ক্লান্তিবোধ করা, ক্ষুধা অনুভূত না হওয়া, জন্ডিস হওয়া, উপরের পেটে ব্যথা হওয়া, পিঠে ব্যথা করা, বমি বমি ভাব, হতাশা, অসুবিধা বা অস্বস্তির অনুভূতি হওয়াÑ যার সঠিক কারণ বোঝা যায় না।


যে কারণে হয় : ধূমপান করলে, ডায়াবেটিস থাকলে, অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস আছে এমন ব্যক্তির, অগ্ন্যাশয় প্রদাহ, মাত্রারিতিক্ত অ্যালকোহল সেবন, খুব বেশি ওজন এবং বয়স্ক ব্যক্তির অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে।


রোগ নির্ণয় : রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে পিইটি স্ক্যান করলে অগ্ন্যাশয় ক্যানসার কতটা ছড়িয়েছে, তা নির্ণয় করা যায়। এন্ডোস্কোপিক আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা, এমআরআই, শেষ পর্যায়ে বায়োপসি করার মাধ্যমেও নির্নয় করা যেতে পারে।


অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের দুটি ধরন আছে। এগুলো হলো-

এক্সোক্রাইন অগ্ন্যাশয় ক্যানসার : এটি শরীরের বহির্মুখী কোষে শুরু হওয়া ক্যানসার। কোষগুলো অগ্ন্যাশয় পাচন রস তৈরি করে। দেখা গেছে, প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষের এক্সোক্রাইন অগ্ন্যাশয় ক্যানসার হয়। এক্সোক্রাইন অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের অনেকগুলো ধরন আছে। অ্যাডেনোকার্সিনোমাস, যা কোষগুলোয় শুরু হয় ও অগ্ন্যাশয়ের নালিগুলো বদ্ধ করে ফেলে। ধরনটিকে অগ্ন্যাশয় ক্যানসার হিসেবে দেখা হয়। এছাড়া স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা, অ্যাডেনোকোয়ামাস কার্সিনোমা ও কলয়েড কার্সিনোমাও রয়েছে।

ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি  ও মানসিক স্বাস্থ্য

        ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি  ও মানসিক স্বাস্থ্য


এন্ডোক্রাইন অগ্ন্যাশয় ক্যানসার : অগ্ন্যাশয়ের সেই অংশে শুরু হয়, যেখানে ইনসুলিন ও অন্যান্য হরমোনগুলো তৈরি হয়ে সরাসরি রক্তে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ক্যানসার গ্যাস্ট্রিনোমাস গ্যাস্ট্রিন উৎপন্ন করে এবং ইনসুলিনোমাস ইনসুলিন করে। অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের আক্রান্ত হওয়ার অনেকগুলো ধাপ রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ক্যানসার অগ্ন্যাশয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। দ্বিতীয় পর্যায়েও ক্যানসার অগ্ন্যাশয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। তবে টিউমার আকারে ২ থেকে ৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যায়। তৃতীয় পর্যায়ে টিউমারটি আকারে ৪ সেন্টিমিটারের বেশি ও লিম্ফ নোডগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে। চতুর্থ পর্যায়ে ক্যানসারটি নিকটস্থ রক্তনালি বা স্নায়ুতে ছড়িয়ে পড়ে। পঞ্চম পর্যায়ে শরীরের দূরবর্তী অঙ্গেও ছড়িয়ে পড়ে।


চিকিৎসা : ক্যানসার কোন পর্যায়ে আছে এবং গ্রেডের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা করা হয়। যদি ক্যানসার প্রমাণিত হয়, তা হলে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে চিকিৎসা সার্জারি। এক্ষেত্রে ক্যানসার পুরোপুরি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে পৌঁছায়, সেক্ষেত্রে ক্যানসার নির্মূল অসম্ভব হয়ে পড়ে। তখন চিকিৎসক প্যালিয়েটিভ অপারেশন করেন। পঞ্চম পর্যায়ে গিয়ে যদি রোগ শনাক্ত হয়, তবে ক্যানসারের কারণে যে সমস্যা হয়, তা নিরাময়ের চিকিৎসা করা হয়।


ডা. আবিদা সুলতানা, (এমবিবিএস)
জেনারেল প্রাকটিসার, সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতাল লিঃ
মেডিসিন, চর্মরোগ, বাত-ব্যাথা, শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ।
লেকচারার, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.