Adsterra

সালমান খানকে খুন

সালমান খানকে খুন, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangladesh news

বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে হত্যা করতে ভাড়াটে খুনিদেরকে দেওয়া হয়েছিল ২৫ লাখ টাকা। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান থেকে আনানো হয়েছিল একে ৪৭, একে ৯২ এবং এম ১৬ বন্দুক। সালমানের খামারবাড়ির কাছেই তাকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল দুবৃত্তদের।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) চার্জশিটে এমনটাই জানায় মুম্বাই পুলিশ। চার্জশিটে পাঁচজন ভাড়াটে খুনির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যারা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে সালমানকে খুন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সে মোতাবেক ৬০-৭০ জনের একটি দল সব সময় নজরদারি চালাতো অভিনেতার ওপর। বিশেষ করে সালমানের বান্দ্রার বাসভবন, পানভেলের খামারবাড়ি এবং গোরেগাঁও ফিল্মসিটিতে।

সালমানকে হত্যা করতে পাকিস্তান থেকে যে বন্দুক আনানো হয়, তার মধ্যে তুরস্কের তৈরি জিগানা বন্দুকও ছিল। ঘটনাচক্রে, এই বন্দুকই পাঞ্জাবের গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসে ওয়ালাকে খুন করতে ব্যবহার করেছিল দুবৃত্তরা।

ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি  ও মানসিক স্বাস্থ্য

চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্তানের এক অস্ত্র ব্যবসায়ী ডোগারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সুখা। ভিডিও কলে একে ৪৭ এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র দেখে ৫০ শতাংশ টাকা অগ্রিম দিয়ে চুক্তি চূড়ান্ত করেন তিনি। বন্দুক হাতে পাওয়ার পর বাকি টাকা মেটানো হয়।

চার্জশিট থেকে জানা যায়, সালমানকে হত্যার পর কন্যাকুমারীতে জড়ো হয়ে সেখান থেকে শ্রীলঙ্কায় পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল দুবৃত্তদের। অভিনেতার বান্দ্রার বাসভবনের বাইরে গুলি চালানোর ঘটনার তদন্তে নেমে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে।


এদিকে বৃহস্পতিবারই হরিয়ানার পানিপথ থেকে সুখা নামের এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দাবি, সালমনকে খুনের জন্য এই শার্পশুটার অজয়সহ আরও চার জনকে দায়িত্ব দিয়েছিল সুখা। অজয়ের নেতৃত্বে ওই দল সালমানের বাসভবন, খামারবাড়িসহ সব জায়গায় অভিনেতার ওপর প্রতি নজর রাখছিল।

মূলত সালমানের আঁটসাঁট নিরাপত্তা এবং বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকায় হামলার জন্য যে উন্নতমানের অস্ত্র দরকার ছিল, তা বুঝেই পাকিস্তান থেকে ওই বন্দুকগুলো আনানো হয় বলে জানায় পুলিশ।

No comments

Powered by Blogger.