কাজে সুপারস্টারের মন থাকে কম, নতুন কোচ নেওয়ার ব্যাখ্যায় ফারুক
চন্ডিকা হাথুরুসিংহকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি বাংলাদেশ দলের নতুন প্রধান কোচ হিসেবে ফিল সিমন্সের নামও ঘোষণা করেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। প্রাথমিক চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই অলরাউন্ডার।
এত অল্প সময়ের মধ্যে নতুন কোচ নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা ঝক্কি পোহাতে হয়েছে বিসিবিকে। সিমন্স আগে এর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুই মেয়াদে প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন। কাজ করেছেন জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ডের প্রধান কোচ এবং আফগানিস্তানের ব্যাটিং কোচ হিসেবেও। পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
কোচ হিসেবে খুব বড় নাম না হলেও তাঁকেই সময় অনুযায়ী পছন্দ বিসিবির। ফারুক আহমেদের মতে, তারকা কোচ হলে কাজে ঠিকঠাক মন থাকে না তাঁদের। নতুন কোচ নেওয়ার ব্যাখ্যায় বিসিবি সভাপতি বললেন, ‘আপনি জানেন পাকিস্তানে খেলতে গেলাম, এরপর ভারতে চলে গেলাম। এসেই কিন্তু জিনিসটা প্রক্রিয়া হয়েছে। আর কিন্তু সময় নেই আরেকটা সিরিজ শুরু হয়েছে। আমার সব কাজ করতে হয়েছে, আবার কোচ খুঁজতে হয়েছে। ৩-৪ জন কোচের সঙ্গে কথা বলেছি, কোচ পাওয়া সহজ ছিল না। যে সম্ভাব্য সেরা (তাঁকেই নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি)। আসলে আমি মনে করি, যখন একজন সুপারস্টার কোচ হিসেবে নেওয়া হয়, তখন আসলে কতটা মন থাকে কাজে। ফলে (তারকা কোচের দিকে যায়নি বিসিবি)।’
সিমন্সের অধীনে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফারুক বললেন তাঁর সাফল্যের হার ভালো, ‘তিনি একজন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান, অনেক দেশের প্রধান কোচ ছিল। ফিল সিমন্স। সে ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুই মেয়াদে প্রধান কোচ ছিলেন, এর বাইরে আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাইরে অত বড় নাম নেই। তবে সে এমন একজন কোচ যার ট্র্যাক রেকর্ড ভালো। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও অনেক কাজ করেছে, পাকিস্তানে এখনো সে কাজ করছে। মেজর লিগ ইউএসএতে কাজ করেছে। সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার। বুঝতে হবে এখনো অন্তর্বর্তী সময় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত আমাদের চুক্তিটা।’
সিমন্সের মেয়াদ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এখন এটা কোচদের দোষ দেওয়া যাবে না। আর্থিকভাবে তারা অনেক সচ্ছল। অল্প সময়। ফলে চার মাস (কাজ) করে পরিবারের সঙ্গে কাজ করতে পারে। ফলে সবগুলো কোচই খুব লম্বা সময় কাজ করতে আগ্রহী দেখা যায় না। তারপরেও আমরা এখন ইন্টারিম পিরিয়ডে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে একজন কোচকে নিয়োগ দিয়েছি। এরপর দুবাইতে হবে তিনটি ওয়ানডে, আফগানিস্তান। সেখান থেকে আমরা যাব ওয়েস্ট ইন্ডিজে ফুল সিরিজ খেলার জন্য টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি। এরপরে আমাদের খুব ভালো শো কেইস টুর্নামেন্ট আমি বলব চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এখানে প্রায় ১০০ দিনের মতো হয়, সাড়ে ৫ মাসের মতো। একটা কোচ আমরা নিয়োগ দিয়েছি এই সময়ের মধ্যে।’
No comments