প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা ইউপি সদস্যের পকেটে
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নূরুল ইসলাম ওরফে তুহিন নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের চর জোকনালা গ্রামের ভুক্তভোগী দিদার আলী, আছমা খাতুন, শেফালী খাতুন ও কে সি সালদাইড় গ্রামের নাজিম উদ্দিন গত ২ অক্টোবর বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি বর্তমানে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে ভুক্তভোগীরা প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। চলতি বছর তাদের নামে নতুন ভাতার টাকা বরাদ্দ হলে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে তাদের জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নূরুল ইসলাম নতুন ভাতাপ্রাপ্তদের হিসাব খুলে বই দেওয়ার কথা বলে তার নিজ বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে এক ব্যাংক কর্মকর্তার সহযোগিতায় প্রত্যেকের আঙুলের ছাপ ও ছবি তুলে রাখা হয়। পরবর্তীতে ২৯ সেপ্টেম্বর আবারো তাদের ডেকে এনে প্রতিবন্ধী ভাতা বাবদ প্রতিজনের প্রাপ্ত ১০ হাজার ২০০ টাকার স্থলে ২ হাজার ৫০০ টাকা ও বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তদেরকে ৭ হাজার ৭০০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে দিয়ে তাদের নামের পাস বইটি হাতে ধরিয়ে দেন। পরবর্তীতে সুফলভোগীরা তাদের মুঠোফোনে পুরো প্রাপ্ত টাকার ক্ষুদেবার্তা দেখে বাকি টাকার দাবি নিয়ে ওই ইউপি সদস্যের কাছে গেলে তিনি আর টাকা দিতে রাজি হননি।
প্রতিবন্ধী দিদার আলী বলেন, শুধু আমাদের ভাতা নয়, ওই ইউপি সদস্য অন্তত ২০ জনের ভাতার টাকা এভাবে আত্মসাত করেছেন। বাকি টাকার জন্য ইউপি সদস্যের কাছে আমরা অনেকবার গিয়েছি। তিনি আমাদের কোনো পাত্তাই দিচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে অভিযোগ করেছি কিন্তু তাতেও কোনো ফলাফল দেখছি না।
তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ২০-২৫ জন নতুন ভাতাপ্রাপ্তদের ভাতার টাকা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন এমন অভিযোগ করেছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের এ টাকা আমি পরিশোধ করে দেবো।
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, ভাতার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
No comments