দুই মাস পর উন্মুক্ত হচ্ছে শিল্পকলা একাডেমি
সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা ও মহড়া কক্ষ। সম্প্রতি এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, গত সোমবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জাতীয় নাট্যশালার মূল থিয়েটার হল এবং ১ ও ২ নম্বর কক্ষ নাটক ও মহড়ার জন্য আগামী ১১ অক্টোবর থেকে সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হল ও মহড়া কক্ষ বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালার পাশাপাশি কিছু সতর্কতা অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার বিভিন্ন কক্ষে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যরা অবস্থান করছেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে জাতীয় নাট্যশালার ৩টি মিলনায়তন, ৬টি মহড়া কক্ষ, সেমিনার কক্ষ, আর্কাইভ কক্ষ সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করা সম্ভব হয়নি। এবার দুই মাস পর ১১ অক্টোবর থেকে শিল্পকলার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু নির্দেশনা অনুসরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতীয় নাট্যশালার মূল হল, নাটক মঞ্চায়নের জন্য বিবেচ্য নাট্যদলকে ১ শিফটে একটি প্রদর্শনীর জন্য বরাদ্দ দেয়া হবে। বরাদ্দপ্রাপ্ত দলকে অবশ্যই তাদের উপস্থিত সদস্যবৃন্দের তালিকা সংগঠনের প্যাডে লিখিতভাবে নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের দফতর কক্ষে জমা দিতে হবে। জাতীয় নাট্যশালার মূল গেটে দর্শক প্রবেশের জন্য নাটক প্রদর্শনীর ২ ঘণ্টা পূর্বে খুলে দেয়া হবে। হল বরাদ্দ ব্যতীত মূল গেট খোলা হবে না। জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে যেসব দল নাটক মঞ্চায়ন করবে দুটি মহড়া কক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হবে। মূল গেট দিয়ে কেবল বরাদ্দপ্রাপ্ত সংগঠনের সদস্য, মহড়া কক্ষ ব্যবহারকারী সংগঠনের সদস্য, শিল্পকলা একাডেমির স্টাফ, সেনাসদস্য এবং টিকিট/আমন্ত্রণপত্র প্রদর্শনী সাপেক্ষে দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন। গণমাধ্যমকর্মীরা অফিস পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্ত হয়েছেন নাট্যজন ও শিক্ষক সৈয়দ জামিল আহমেদ।
No comments