টি-টোয়েন্টিতে যে ৮ কীর্তি শুধুই মাহমুদউল্লাহর
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ভারতের সঙ্গে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ শেষের পর অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সোমবার (৮ অক্টোবর) দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে অবসরের কথা গণমাধ্যমকে জানান ৩৮ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। ভারতের সঙ্গে চলমান সিরিজটিই হতে যাচ্ছে তার শেষ টি-টোয়েন্টি অ্যাসাইমেন্ট।
২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর কেনিয়ার বিপক্ষে নাইরোবিতে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। তারপর থেকে দীর্ঘ ১৭ বছরে জাতীয় দলের হয়ে ১৩৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এই তারকা অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ২ হাজার ৩৯৫ রান সংগ্রহের পাশাপাশি বল হাতে শিকার করেছেন ৪০ উইকেট।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একগাদা রেকর্ডও গড়েছেন মাহমুদউল্লাহ। যুগান্তরের পাঠকদের জন্য তার সব টি-টোয়েন্টি রেকর্ড একনজরে-
১৩৯ - বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কীর্তি মাহমুদউল্লাহর। এখন পর্যন্ত ১৩৯ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ভারত সিরিজের পরের দুটি ম্যাচ খেললে ১৪১ টি-টোয়েন্টি ক্যাপ নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করবেন তিনি।
৭৪ - আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মাহমুদউল্লাহর। ৫৭ ছক্কা নিয়ে দুইয়ে লিটন দাস।
৪৩ - টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশকে রেকর্ড ৪৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তার নেতৃত্বে ১৬ ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
২৯ - বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টিতে টানা ২৯ ম্যাচে নেতৃত্ব নেওয়ার কীর্তিও মাহমুদউল্লাহর। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালে জুলাই পর্যন্ত টানা মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে খেলেছে বাংলাদেশ।
৩৮ বছর ২৪৫ দিন - ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টির দিন মাহমুদউল্লাহর বয়স। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে টি-টোয়েন্টি খেলার রেকর্ডটা ২০২২ সালেই জুলাই থেকেই তার।
৬৬ - বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘসময় রানের খাতা খোলার রেকর্ড মাহমুদউল্লাহর। ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা ৬৬ ইনিংসে একবারও শূন্য রানে আউট হননি মাহমুদউল্লাহ।
২৬ - কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৬ ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
৫ - আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরার স্বীকৃতিতে দুইয়ে মাহমুদউল্লাহ। ১২ বার ম্যাচসেরা হয়ে শীর্ষে সাকিব।
No comments