কুয়াকাটায় আবাসন সংকট ফিরে যাচ্ছেন পর্যটকরা
ব্যবসায়ী ও পর্যটকের দেয়া তথ্য বলছে, ৪দিনের ছুটি মানেই কুয়াকাটায় পর্যটকের চাপ। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ২ শতাধিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট এখন পর্যটকে ঠাঁসা। অনেকেই রুম না পেয়ে লাগেজ বা ব্যাগ নিয়ে অবস্থান করছেন সৈকতের বালিয়াড়িতে। তারা বলছেন, রুম না পেয়ে কুয়াকাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটকদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (কুটুম) এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, হঠাৎ করে এখানে অনেক পর্যটক বেড়েছে। বিষয়টি আনন্দের। তবে কিছু পর্যটক হোটেলের রুম না পেয়ে বাসা বাড়ি ও খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথা বলেছি। তারা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে।
আবাসিক হোটেল মিয়াদ ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, দুর্গাপূজার ছুটিতে কুয়াকাটায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি পর্যটক এসেছেন। আমাদের কাছে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে পাঠিয়েছি। অনেক পর্যটক বাসা বাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করে ফিরে গেছেন এমনটা শোনা যাচ্ছে।
কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদ বলেন, কুয়াকাটায় ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টির মতো আবাসিক হোটেল রয়েছে। দুর্গা উৎসবের টানা ছুটিতে রুম সংকট হওয়ায় কমিউনিটি ট্যুরিজমের আওতায় বাসা বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন পর্যটকরা।
আবাসন সংকট দূর করার জন্য বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক আ. খালেক বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমাদের ৫টি টিম কাজ করছে। যদি কোনো পর্যটক রুম না পায়, আমাদের কাছে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি।
No comments