মণিপুরে দফায় দফায় গোলাগুলি, থানায় হামলা
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যেন থামছেই না ভারতের ‘সেভেন সিসস্টার্স’ নামে পরিচিত অন্যতম মণিপুর রাজ্যে। কিছুদিন পরপরই জাতিগত দাঙ্গায় উত্তাল হয়ে উঠে রাজ্যটি। শনিবারও ঘটেছে একই ঘটনা। হঠাৎই ভোর ৫টায় শুরু হয় সংঘাত। দফায় দফায় চলে গোলাগুলি।
একপর্যায়ে জিরিবাম জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে বোরোবেকরা থানায় চালানো হয় হামলা। এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সন্দেহভাজন কুকি বিদ্রোহীরাই এ হামলা চালিয়েছে।
পুলিশ জানায়, খুব সকালে গুলি চালাতে শুরু করে হামলাকারীরা। এছাড়া সেখানকার একটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং বোমা হামলাও চালানো হয়েছে।
এছাড়াও সূত্র থেকে জানা যায়, থানার দেওয়াল ও দরজায় বুলেটের ছিদ্র দেখা গেছে। একটানা গোলাগুলির শব্দও শোনা যাচ্ছিল। হামলার পরপরই নিরাপত্তা বাহিনী জোর অভিযান শুরু করেছে।
অন্যদিকে মণিপুরের পুলিশপ্রধান রাজীব সিং বলেন, জিরিবাম জেলাসহ কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত গোলাগুলি চলছে। নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে জিরিবাম জেলায় মেইতে ও কুকি জনজাতির সংঘাতে পাঁচজন নিহত হয়েছিলেন। মাসখানেক বিরতির পরে নতুন করে আবারও অশান্ত হলো মণিপুরের জিরিবাম জেলা।
শনিবার ভোর থেকে মেইতে ও কুকিদের সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় গোলাগুলি চলছে। মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিলে তার প্রতিবাদে ২০২৩ সালের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে সেখানে অশান্তির সূত্রপাত হয়।
মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে খ্রিষ্টানপ্রধান জনজাতি কুকি, জো’সহ কয়েকটি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। রাজ্যটিতে শান্তি ফেরাতে চলতি সপ্তাহে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বিধায়কদের নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিতে বৈঠকের আয়োজন করেছে।
No comments