ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইব্রাহিমের পূর্ব অপরাধের রেকর্ড নেই
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ২০১৯ সালের ২০ জুলাই ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুরশিদ আহম্মেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, ‘একজন স্বামী পরিত্যক্ত নারী রেনু বেগমকে নির্মমভাবে, মধ্যযুগীয় কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করে আসামিরা পশু মনোবৃত্তির প্রকাশ ঘটিয়েছেন।’
এই মামলায় যাঁকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন, আদালত তাঁর পূর্ব অপরাধ বা শাস্তির কোনো রেকর্ড নেই।
আদালত বলেন, আসামি ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া নিষ্ঠুর ও বর্বরভাবে আঘাত করে একজন স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে হত্যা করেছেন এবং দুই শিশুকে মাতৃহারা করেছেন। নিজের পশু মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। তাঁর পূর্ব অপরাধ ও শাস্তির রেকর্ড নেই। কিন্তু একজন নিরপরাধকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করায় তাঁকে লঘু শাস্তি দেওয়ার সুযোগ নেই।
ছেলেধরা সন্দেহে রেনুকে পিটিয়ে হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন ছেলেধরা সন্দেহে রেনুকে পিটিয়ে হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত হৃদয় মোল্লা সম্পর্কে আরও বলেন, ‘অপরাধ সংঘটনের সময় তিনি যে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা, উন্মত্ততা, ও পৈশাচিকতা প্রদর্শন করেছেন, সে ক্ষেত্রে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া সমীচীন হবে না। সংঘটিত অপরাধের মাধ্যমে তিনি নিজেকে সমাজে কলঙ্কিত করেছেন।’
রায়ে আদালত ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড এবং রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এর আগে আসামি হৃদয় মোল্লাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় এবং অন্যরা জামিনে থেকে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
No comments