সরকারি কর্মকর্তাদের কখন এবং কেন ওএসডি করা হয়? ওএসডি কর্মকর্তারা কী করেন ?
“এক বছরেরও বেশি সময় আমাকে কোনো কাজই করতে দেওয়া হয়নি। ওই সময় অফিসেও গিয়েছি হাতে গোনা কয়েকবার। তবে বেতন-বোনাস নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি, ঠিকঠাক পেয়েছি,” ঢাকা ভয়েজকে বলছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবির মিলন।
রেলের টিকিট কালোবাজারি বন্ধসহ অনিয়ম-দুর্নীতিবিরোধী বেশকিছু উদ্যোগ নিয়ে আলোচনায় আসা মি. মিলনকে ২০২০ সালের ছয়ই অগাস্ট হঠাৎ বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে তখন বেশ সমালোচনা হলেও তাকে আর স্বাভাবিক দায়িত্বে ফেরানো হয়নি। ওএসডি থাকা অবস্থাতেই পরের বছর ডিসেম্বরে অবসরে যান মি. কবির।
“ওই সময়টা অকারণে বসিয়ে না রাখলে দেশ ও মানুষের জন্য আমি আরও অনেক কাজ করতে পারতাম। কিন্তু সেই সুযোগ না পাওয়ার আফসোস আমার বাকিটা জীবন থেকেই যাবে,” বলেন সাবেক ওই অতিরিক্ত সচিব।
অবসর নিয়ে মি. মিলন শেষমেশ ওএসডি থেকে মুক্ত হতে পেরেছেন। কিন্তু প্রশাসনে এখনও অসংখ্য কর্মকর্তা রয়েছেন, যারা চাকরিতে থেকেও রীতিমত ‘বেকার’ জীবন কাটাচ্ছেন।
এতে একদিকে যেমন মেধা ও শ্রমশক্তির অপচয় হচ্ছে, তেমনি ওএসডি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাবদ প্রতিবছর সরকারকে গুনতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
No comments