Adsterra

চিনি খাওয়া বন্ধ করলে শরীরে যে পরিবর্তন ঘটে

চিনি খাওয়া বন্ধ করলে শরীরে যে পরিবর্তন ঘটে, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangladesh news

অতিরিক্ত চিনি খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিভিন্ন ধরনের পানীয়, সস কিংবা মিষ্টিজাতীয় খাবারে চিনি থাকে। আপনি যদি আপনার খাদ্য থেকে চিনি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে কী হবে? চিনি খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার পরে শরীরে কিছু পরিবর্তন ঘটে। জেনে নিন সেগুলো কী কী। 


ওজন কমানো সহজ হয়ে যায়

চিনি বাদ দিলে লক্ষণীয় মাত্রায় ওজন কমতে পারে। ওবেসিটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, চিনি গ্রহণ কমিয়ে দিলে শরীরের ওজন কমতে পারে এবং সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে। আপনি যখন চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেন, তখন আপনার শরীর আর রক্তে শর্করার মাত্রায় ক্রমাগত ওঠানামা করে না। এটি ক্ষুধা স্থিতিশীল করে এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা সহজ করে তোলে। 


এনার্জি বাড়ায় 

মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার পর প্রায়ই দেখা যায় ক্লান্ত লাগে। এর কারণ হচ্ছে চিনির কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়, এরপর হঠাৎ করে কমে যায়। চিনি বাদ দিয়ে দিলে সারা দিন ধরে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ এনার্জির মাত্রা লক্ষ্য করবেন। আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, চিনি খাওয়া কমিয়ে দিলে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ক্লান্তি কমে যায়।


ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি  ও মানসিক স্বাস্থ্য


দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে

দাঁতের ক্ষয় এবং গর্ত হয়ে যাওয়ার জন্য চিনির শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে। চিনি বাদ দিয়ে দিলে মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পাবেন। চিনি খাওয়া কমিয়ে দিলে মাড়ির রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে।


পরিষ্কার থাকে ত্বক

অতিরিক্ত চিনি খেলে ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ এবং অকাল বার্ধক্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাদ্য তলিকা থেকে চিনি বাদ দিয়ে দিলে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল ত্বক পাবেন।


দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে

অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। খাদ্য থেকে চিনি বাদ দিয়ে দিলে এসব গুরুতর স্বাস্থ্য অবস্থার ঝুঁকি কমে। সার্কুলেশন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, চিনি খাওয়া কমিয়ে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

No comments

Powered by Blogger.