জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা
গণহত্যার অভিযোগে করা মামলায় লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ পরোয়ানা জারি করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এদিন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে সবার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।
অন্য আরও যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ছোট বোন শেখ রেহানা।
এছাড়াও রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ, পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক র্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম।
ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর আদালত চত্বরে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে আমরা সবার নাম প্রকাশ করছি না। এসব ব্যক্তিকে আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
No comments