লবঙ্গ ভেজানো পানির গুণে চুলের উজ্জলতা, খাবেন নাকি মাখবেন !
আমাদের রান্নাঘরে সবচেয়ে কমন একটি মশলা থাকে, যা শুধু রান্নার কাজেই লাগে না। বরং এতে রয়েছে নানা ঔষধি গুণ। গলা খুসখুস, সর্দিকাশি নিরাময়ে এটি বেশ উপকারী। হঠাৎ মধ্যরাতে দাঁতের যন্ত্রণা শুরু হলে মুখে লবঙ্গ লাগান। লবঙ্গের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, এই সব উপাদান মাথার ত্বকের জন্যও ভাল।
চুলের তো হাজার একটা সমস্যা। চুল পড়া, খুশকি, মাথার ত্বকের সংক্রমণ— সবই রুখে দিতে পারে। পাশাপাশি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। ফলে চুলের ফলিকলে অক্সিজেনের জোগান স্বাভাবিক থাকে। তবে লবঙ্গ বেটে বা লবঙ্গের তেল সরাসরি মাথায় মাখা যায় না। মাথার ত্বক স্পর্শকাতর হলে হিতে বিপরীত হবে। আবার কারও লবঙ্গে অ্যালার্জি থাকতে পারে। সে বিষয়েও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
কীভাবে লবঙ্গ ভেজানো জল চুলে মাখবেন?
১) একটি পাত্রে ২ কাপ জল গরম করে নিন।
২) তার মধ্যে ২ টেবিল চামচ লবঙ্গ দিয়ে দিন।
৩) পাঁচ-ছ’মিনিট ভাল করে ফুটিয়ে নিন। জলের রং বদলে যেতে শুরু করবে।
৪) এ বার ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ওই ভাবে রেখে দিন। চাইলে সারা রাত রেখে দিতে পারেন।
৫) জল থেকে লবঙ্গ ছেঁকে তুলে নিন। বায়ুরোধী কাচের পাত্রে ভরে রাখতে পারেন। স্প্রে বোতলেও ভরে রাখা যায় তরলটি।
৬) মাথার ত্বক পরিষ্কার করে চুলের গোড়ায় ভাল করে তা মেখে নিন।
৭) মিনিট দশেক ওই ভাবে রেখে দিন। চাইলে সারা রাতও রেখে দিতে পারেন। আবার শ্যাম্পুও করে ফেলতে পারেন। লবঙ্গের নিজস্ব তেল রয়েছে। তাই চুল কিন্তু তেলতেলে হয়ে যেতে পারে।
No comments