ধনসম্পদে বরকত নষ্টের কারণ
জীবন ও ধনসম্পদ থেকে বরকত উঠে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে হারাম কর্মকাণ্ডের বিস্তৃতি এবং অনবরত পাপাচার ও খারাপ কাজে লিপ্ত থাকা। মহান আল্লাহ বলেন, ‘মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও জলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে তিনি তাদের কোনো কোনো কাজের শাস্তিআস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে।’ (সুরা রুম ৪১)
জলে ও স্থলে তথা সারা বিশ্বে মানুষের কুকর্মের বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। ‘বিপর্যয়’ বলে দুর্ভিক্ষ, মহামারী, অগ্নিকাণ্ড, পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার ঘটনাবলির প্রাচুর্য, সবকিছু থেকে বরকত উঠে যাওয়া, উপকারী বস্তুর উপকার কম এবং ক্ষতি বেশি হয়ে যাওয়া ইত্যাদি আপদ-বিপদ বোঝানো হয়েছে। বিষয়টি অন্য এক আয়াতে এভাবে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমাদের যেসব বিপদাপদ স্পর্শ করে, সেগুলো তোমাদেরই কৃতকর্মের কারণে। অনেক গুনাহ তো আল্লাহ ক্ষমাই করে দেন।’ (সুরা শুরা ৩০)
বরকত উঠিয়ে নেওয়ার প্রভাবগুলোর অন্যতম হলো, বর্তমান বিশ্বে আজ বিপুল সক্ষমতা ও অঢেল অর্থ থাকার পরও বিশাল অর্থনৈতিক সমস্যা এবং বিরাট আর্থিক চ্যালেঞ্জে ভুগছে। তা সত্ত্বেও বিশ্ব বিপজ্জনক মুদ্রাস্ফীতি, অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধি এবং বিপুল ঋণের বোঝায় জর্জরিত! এসব কিছুর কারণ হলো, অধিকাংশ মানুষের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পথ থেকে দূরে থাকা, তার হুকুম না মানা।
আরেকটি কারণ হলো, সুদি লেনদেনের বিস্তার, যার ওপর আজ বিশ্ব অর্থনীতি গড়ে উঠেছে, যা তাদের অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং নানাবিধ সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন করছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহতায়ালা সুদকে বিলুপ্ত করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন।’ (সুরা বাকারা ২৭৬)
No comments