শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২২
গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী এবং শিশুরাও রয়েছে। এই হামলার পর অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান আরও তীব্রতর হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় আরও ৯০ জন আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি বার্ত সংস্থা ওয়াফা জানায়, শুক্রবার রাতের হামলায় জাবালিয়ায় চারটি বসতবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে ২২ জন নিহত হন। এখনো ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন।
এদিকে, উত্তর গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণাঞ্চলে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। যদিও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।
হামাস এই হামলাকে ‘গণহত্যার ধারাবাহিকতা’ বলে অভিহিত করেছে। গোষ্ঠীটির সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড দাবি করেছে, তারা জাবালিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনীর ১৫ সেনাকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরক ডিভাইস ব্যবহার করেছে। এতে বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) জানিয়েছে, হামলার কারণে জাবালিয়ায় আটকা পড়া হাজারও বেসামরিক নাগরিক চরম বিপদের মুখে রয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, উত্তর গাজায় সহিংসতার কারণে খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। অক্টোবরের শুরু থেকে উত্তর গাজায় কোনো খাদ্য সহায়তা প্রবেশ করতে পারেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
গাজার হাসপাতালগুলোও সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। কামাল আদওয়ান হাসপাতাল কর্মী সংকট এবং জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যেও চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হাসপাতাল থেকে বের হতে চাইলে কর্মীদের গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযানে গত এক সপ্তাহে গাজার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৪২ হাজার ১৭৫ জন নিহত এবং ৯৮ হাজার ৩৩৬ জন আহত হয়েছেন।
No comments