Adsterra

এক্সপ্রেসওয়ের টোল কমানোর প্রস্তাব, চলবে মোটরসাইকেল

এক্সপ্রেসওয়ের টোল কমানোর প্রস্তাব, চলবে মোটরসাইকেল, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangladesh ne

চট্টগ্রাম নগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের টোল কমাতে চায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নতুন প্রশাসন। গত সরকারের সময়ে যে টোল মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছিল, তা সংশোধন করাতে চাচ্ছে তারা।

ইতিমধ্যে টোলের হার পুননির্ধারণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে আগে যেখানে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা, মোটরইসাইকেলের মতো যানবাহন চলাচল করতে না দেওয়া কথা ছিল, সেখানে নতুন প্রস্তাবে এসব গাড়ি চলাচলের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যানবাহন পরীক্ষামূলক চলাচল করলেও নেওয়া হচ্ছে না টোল।

বৃহস্পতিবার একটি গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গত ২৮ আগস্ট থেকে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে পরীক্ষামূলক যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যানবাহন থেকে কোনও টোল আদায় করা হচ্ছে না। আগে যে টোল মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছিল, তা থেকে কমিয়ে পুনরায় নির্ধারণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। নতুন টোলের বিষয়টি অনুমোদন হওয়ার পর টোল আদায়ের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপর যানবাহন থেকে টোল আদায় কার্যক্রম শুরু হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৯টি র‌্যাম্পের কাজ চলমান আছে। ৯টির কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি আমরা।’ 

সিডিএ জানায়, মূল অবকাঠামোর নির্মাণকাজ শেষ হলেও নিরাপত্তা ও সুরক্ষার কিছু কাজ এখনও বাকি রয়ে গেছে। সংস্থাটির পরিকল্পনা ঘাটতির কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছরের ১৪ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি চট্টগ্রাম নগরের ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে’-এর উদ্বোধন করেছিলেন।

ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি  ও মানসিক স্বাস্থ্য

সিডিএ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরমুখী এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দৈর্ঘ্য ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার হওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে তা ১৫ দশমিক ২ কিলোমিটার। প্রাথমিক সমীক্ষায় ২০টি র‌্যাম্প (যানবাহন ওঠানামার পথ) নির্মাণ করার কথা থাকলেও করা হয়েছে ১৪টি। এর থেকে আরও চার-পাঁচটি অপ্রয়োজনীয় র‌্যাম্প কমানোর চিন্তা করছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। র‌্যাম্পের মোট দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে আছে মাত্র অর্ধেক। চালুর আগে এত পরিবর্তনের কারণে বেড়ে গেছে ব্যয়ও। সিডিএর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান র‍্যাঙ্কিন।

No comments

Powered by Blogger.