নতুন ১৮ সদস্য নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা
নতুন ১৮ জন সদস্য নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই ১৮ জন ছাড়াও পদাধিকারবলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র এ কমিটির সদস্য থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, গত ২২ অক্টোবর সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কমিটিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক ও আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব করা হয়। এছাড়া আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক ও উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র করা হয়। এ কমিটি দিয়েই এতদিন সংগঠনটির কার্যক্রম চলছিল।
এবার আরও ১৮ জন নতুন সদস্যকে নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠনিক পরিধি বাড়ানো হলো। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে জায়গা পাওয়া নতুন সদস্যরা হলেন মো. মাহিন সরকার, রশিদুল ইসলাম রিফাত, নুসরাত তাবাসসুম, লুৎফর রহমান, আহনাফ সাঈদ খান, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), তারিকুল ইসলাম, মো. মেহেরাব হোসেন সিফাত, আসাদুল্লাহ আল গালিব, মোহাম্মদ রাকিব, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, আসাদ বিন রনি, নাইম আবেদীন, মাহমুদা সুলতানা রিমি, ইব্রাহিম নিরব, রাসেল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম আইনী ও মুঈনুল ইসলাম হাসনাত।
এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বেই গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলন পরিচালনায় ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে ৩ আগস্ট সমন্বয়ক সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের টিম তৈরি করা হয়।
ওই কোটা সংস্কার আন্দোলন একপর্যায়ে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। সেই অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
No comments