ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন নিয়ে মারামারি
ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন নিয়ে মারামারির ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রাতেই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষে মারামারির এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম খান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক কার্যক্রমের গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। জেলা ও মহানগর খসড়া কমিটি প্রণয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিদের সাথে ময়মনসিংহ মহানগর ও ময়মনসিংহ জেলার ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২টায় শুরু হওয়া এ সভায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ময়মনসিংহ বিভাগীয় টিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য ফুয়াদ হাসান ও সাকিবুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। কীভাবে কমিটি গঠন করা যায় সে প্রসঙ্গে তারা মতামত গ্রহণ করেন। সভাটির এক ফাঁকে মো. রিয়াদ সারোয়ার নামে একজনের সঙ্গে মো. সিফাত নামে অপর একজনের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। রিয়াদ সারোয়ার সভায় অংশ নেয়া এক মেয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় ডাক দেন সিফাত। সিফাতের কাছে যেতে বিলম্ব করায় বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় রিয়াদ সারোয়ারকে সজোরে ঘুষি মারেন সিফাত। অন্যরা দুজনকে থামিয়ে দিলেও সভা শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সভাস্থল থেকে বের হওয়ার সময় দুপক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এ সময় রিয়াদ সারোয়ার ও তার বন্ধু আব্দুল কাদির শৈশব নামে দুজন আহত হন। তারা দুজনেই আনন্দ মোহন কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। রিয়াদ সারোয়ারকে বেধড়ক পিটুনি দেওয়া হয়েছে এবং আবদুল কাদির শৈশবকে মাথা ও মুখে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাদের দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান সহপাঠীরা। এ ঘটনায় রাতেই রিয়াদ সারোয়ার বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
রিয়াদ সারোয়ার বলেন, সভা চলাকালে এক বড় আপুর সঙ্গে কথা বলছিলাম। সে সময় ডাকতে থাকেন সিফাত। যেতে দেরি হওয়ায় আমাকে ঘুষি দেয়। পরে সভা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সংঘবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করেছে আমার ওপর।
সভাটিতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহের সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, বাগবিতণ্ডার জেরে মারামারিতে জড়ায়। সভা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এমন অবস্থা দেখে তাদেরকে নিভৃত করে দেয়া হয়।
বিষয়টি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের জানানো হয়েছে বলে জানিয়েন ময়মনসিংহের আরেক সমন্বয়ক আশিকুর রহমান।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম খান বলেন, নিজেদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি নিয়ে মারামারির ঘটনায় থানায় একপক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
No comments