Adsterra

অর্জুনের কঠিন রোগের নেপথ্যে মালাইকা!

অর্জুনের কঠিন রোগের নেপথ্যে মালাইকা!, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangladesh news

বয়সে ১৩ বছরের বড় মালাইকার প্রেমে মজেছিলেন অর্জুন কাপুর এ কথা পুরনো। অনেক জল্পনার শেষে নিজেদের সম্পর্ককে স্বীকৃতিও দিয়েছেন বলিউড আইটেম কুইন মালাইকা অরোরা ও হালের হিরো অর্জুন কাপুর। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের প্রেমে বিচ্ছেদ ঘটে। সেই বিচ্ছেদ যে বেশ প্রভাব ফেলেছে অর্জুন ও মালাইকার জীবনে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১৮ সাল থেকেই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তারা। ২০১৯ সালে প্রেমে সিলমোহর দেন তারা। ২০২৪ সালে শোনা যায় বিচ্ছেদের খবর।

সেই বিচ্ছেদের পরেই তার প্রভাব পড়েছে অর্জুনের জীবনে। এবার নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা।

চলতি বছরেই বিচ্ছেদ হয় এই চর্চিত লাভবার্ডসের। অর্জুনের জন্মদিনের পার্টিতে দেখা মেলেনি মালাইকার। তবে মালাইকার বাবার মৃত্যুর পর পাশে ছিলেন অর্জুন। সম্প্রতি নিজেকে 'সিঙ্গল'ও ঘোষণা করেছেন অভিনেতা। কিন্তু এই বিচ্ছেদ যে প্রবল প্রভাব পড়েছে অভিনেতার জীবনে তা, এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করলেন।

অর্জুন তার জীবনের কঠিন সময়ের কথা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, ২০১৪-তে যখন মা মারা যান তখন বোনও দিল্লিতে। বাড়িটা পুরো ফাঁকা মনে হত। ইন্ডাসট্রিতে যখন নিজের পরিচয় তৈরি করতে পারলাম তখন ব্যক্তিগত জীবন আর শরীরচর্চা নিয়েই ব্যস্ত হয়ে যাই। সেই সঙ্গে ক্যারিয়ারটাও সামলাই। আজকের দিনে একটাই কথা মনে হয়, নিজের যত্ন নেওয়া উচিত।

পাশাপাশি অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে গত দু'বছর ধরেই অসুস্থ অর্জুন। 'হাসিমটো' নামের এক রোগে আক্রান্ত অর্জুন। এটি একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার। ৩০ বছর বয়স থেকে এই রোগে আক্রান্ত তিনি। এই রোগে খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়। এই রোগে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড নষ্ট হয়ে যায়। শুধু ওজন বৃদ্ধি পাওয়া নয়, একাকিত্ব ও অবসাদও তার অংশ। ঘন ঘন মনোবিদের কাছে যেতে হচ্ছে তাকে।

অভিনেতার দাবি, মায়ের থেকেই এই রোগ নাকি পেয়েছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই অবসাদে ভোগেন নায়ক। ওজন বেশি হওয়ার জন্য থেরাপি নিতে হতো তাকে। এরপর বক্স অফিসে বারবার ব্যর্থ হওয়ার জন্য আবারও অবসাদ গ্রাস করে অর্জুনকে।

ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি  ও মানসিক স্বাস্থ্য

অভিনেতা বলেন, গত বছর থেকে কর্মজীবন নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। কিছুই যেন ভাল লাগত না। নিজের ছবি দেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। একাধিক মনোবিদকে দেখিয়েছি, লাভ হয়নি। অবশেষে এক জনকে পেয়েছি যিনি আমার চিকিৎসা করছেন।

সম্পর্ক ভাঙার কথা জিজ্ঞাসার করায় অভিনেতা বলেন, সম্পর্ক নিয়ে কোনও কথা বলা খুব একটা পছন্দ করি না। আমার মনে হয় জীবনে যা ঘটছে সেটাকে সম্মান করা উচিত। এই বিষয় নিয়ে গভীরে কথা বলতে চাই না। অতীতের ঘটনার সঙ্গে বর্তমানকে কখনওই জুড়তে চাই না।

No comments

Powered by Blogger.