Adsterra

আ.লীগের প্রতি ন্যূনতম সহানুভূতি দেখানো যাবে না: রাশেদ খাঁন

আ.লীগের প্রতি ন্যূনতম সহানুভূতি দেখানো যাবে না: রাশেদ খাঁন, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangl

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরাসরি গণহত্যার সাথে জড়িত। ছাত্রলীগের আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা দরকার ছিলো। এ দলটির প্রতি ন্যূনতম সহানুভূতি দেখানো যাবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো, কেন খুনিদের গ্রেপ্তার করছেন না? আপনারা কি আওয়ামী লীগকে ধরতে ভয় পাচ্ছেন? এই দেশের বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে বলবো পুলিশ আওয়ামী খুনিদের আটক না করলে, আপনারা এই খুনিদের ধরে পুলিশ দেন।

রোববার (১০ নভেম্বর) শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় ২০২৪ ও ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাশেদ খাঁন বলেন, আওয়ামী লীগ আজ গর্তের মধ্যে লুকিয়ে আছে। কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতোদিন শেখ মুজিবের ছবি নিয়ে মিছিল করেছে, আর এখন ট্রাম্পের ছবি নিয়ে মিছিল করার পায়তারা করছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে কি আওয়ামীলীগের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে? আওয়ামী লীগের কর্মীদের বলতে চাই— আপনারা শেখ হাসিনার ফাঁদে পা দেবেন না। শেখ হাসিনা যদি বাপের বেটি হতো, প্রকৃতপক্ষে শেখ মুজিবের কন্যা হতো, তাহলে এই বাংলাদেশ থেকে এভাবে পালিয়ে যেত না।

তিনি বলেন, আজকে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, তার প্রেতাত্মারা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করছে। শ্রদ্ধা জানানোর পরে আমরা মিছিল করব, দেখতে চাই কোথায় আওয়ামী লীগ আছে? আওয়ামী লীগের ঠিকানা এই বাংলাদেশে হবে না। তবে আওয়ামী লীগের নিরীহ ও সাধারণ নেতাকর্মীদের বলবো, আপনারা আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে দুধ দিয়ে গোসল করে নিন। শেখ হাসিনা আপনাদের কথা ভাবে নাই। সে তার পরিবার ছাড়া কাউকে আপন মনে করে না।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেণ, ২৮ অক্টোবরের পরে প্রায় ৩০ হাজার বিএনপি, জামায়াত গণঅধিকার পরিষদসহ ভিন্নমতের মানুষকে আটক করা হয়। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পরে তিন হাজার আওয়ামী খুনিকেও আটক করা হয়নি।

গণপরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শাকিল উজ্জামান বলেন, নুর হোসেন এদেশের গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। আওয়ামী লীগ একটি গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী সংগঠন। আওয়ামী লীগ অসংখ্য মানুষ কে গুম খুন করেছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালিয়েছে। যারা দেশের মানুষের উপর গণহত্যা চালায়, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে, নির্বাচারে মানুষকে গুম করে তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই।

ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি  ও মানসিক স্বাস্থ্য

এসময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, ফাতেমা তাসনীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, জিলু খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন কবীর, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পি প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.