আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন শাহিদা, বিয়ের চাপ দেওয়ায় গুলি করে হত্যা করেন প্রেমিক
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে শাহিদা ইসলামকে (২৪) পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেন প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়। শাহিদা আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় বিয়ের জন্য তৌহিদকে চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু এতে রাজি না থাকায় তাঁকে গুলি করে হত্যা করেন। আর হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি গত ৫ আগস্ট ঢাকার ওয়ারি থানা থেকে লুট হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার।
পুলিশ সুপার জানান, মুন্সিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৌহিদের অবস্থান শনাক্ত করে। পুলিশের মতে, হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে ভোলার মনপুরা দ্বীপে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন অভিযুক্ত। তৌহিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বটতলী বেইলি সেতুর নিচে পানির ভেতর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান, উদ্ধারকৃত পিস্তলটি ৫ আগস্ট ঢাকার ওয়ারি থানার একটি লুণ্ঠিত অস্ত্র।
এর আগে গত শনিবার রাতে নিহত শাহিদা ইসলাম রাফার মা জরিনা বেগম শ্রীনগর থানায় কথিত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে প্রধান অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা করেন। নিহত শাহিদা রাজধানী ঢাকার ওয়ারিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত মো. মোতালেবের মেয়ে। তাঁরা দুই ভাই ও তিন বোন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সকালে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের দোগাছি এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ শাহিদা ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
No comments