নতুন বছরে বিচার বিভাগ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করবে
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আশা প্রকাশ করে বলেছেন, নতুন বছরে দেশের বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ হতে সম্পূর্ণরূপে প্রভাবমুক্ত হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতার সুফল ভোগ করবে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তার ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে ২০২৫ সাল হবে বিচার বিভাগের জন্য নবযাত্রার একটি বছর। ২০২৫ সালেই বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রভাবমুক্ত হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতার সুফল ভোগ করবে এবং রাষ্ট্রের একটি স্বাধীন অঙ্গ হিসেবে জনগণের সেবায় নিয়োজিত করার মাধ্যমে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে সক্ষম হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিচার বিভাগ সংস্কারের জন্য ২১ সেপ্টেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা করেন ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বাধীন কাউন্সিল গঠন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদায়ন নীতিমালা প্রণয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ ছাড়া ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তির পর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্গঠিত হয়েছে এবং এর কার্যক্রম চলমান আছে।
এ ছাড়া বিচারসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে নানামুখী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার থেকে হাইকোর্ট বিভাগের কোম্পানি-সংক্রান্ত একটি বেঞ্চে সম্পূর্ণ কাগজমুক্ত বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করা হবে।
পর্যায়ক্রমে সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বেঞ্চে কাগজমুক্ত কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন জেলা আদালতগুলোতে সম্পূর্ণ কাগজমুক্ত বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতি।
No comments