যে ৬ বিষয় ছেলেরা মায়ের থেকেই শেখে
প্রত্যেক শিশুর বিকাশ নির্ভর করে তাদের বড় হয়ে ওঠার পরিবেশ, পরিবারের লালন-পালন এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে। শুধু বাবা কিংবা মা নন, পারিপার্শ্বিক অবস্থাও শিশুর বিকাশের ক্ষেত্রে অধিকাংশে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে মায়েদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সন্তানের ব্যক্তিত্ব গঠনে। ছেলেদের মানসিক বৃদ্ধির দিক নির্দেশ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জীবন দক্ষতার শিক্ষা, মৌলিক মূল্যবোধ ইত্যাদির উপর মায়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এই ৬ বিষয় ছেলেরা সাধারণত তাদের মায়ের কাছ থেকেই শেখে।
জটিল আবেগ মোকাবেলা
জটিল আবেগ বোঝা এবং তার সাথে কীভাবে মোকাবেলা করবে তা ছেলেরা সাধারণত মায়ের কাছ থেকে শেখে। কঠিন এবং জটিল পরিস্থিতিতেও মায়েরা যেভাবে স্ট্রেস সামলে নিজেদের স্নেহময়ী ভূমিকা পালন করেন, তা ছেলেরা খেয়াল করে এবং অজান্তেই রপ্ত করে নেয়।
সহানুভূতির শিক্ষা
মায়েদের অপরের যত্ন নেওয়া, পরিবারের অসুস্থ সদস্যের খেয়াল রাখা, প্রতিবেশী বা পরিচিতদের সাহায্য করার গুণগুলো ছেলেরা শেখে। এগুলো যে জীবনযাপনের একটি প্রয়োজনীয় দিক তা মায়েদের কাছ থেকেই তারা জানতে পারে।
হিংসা ছাড়াই সমস্যার সমাধান
হিংসা ছাড়া কথা বলা বা আলোচনার মাধ্যমে কিংবা অন্য কোনও কৌশলে যে সমস্যার সমাধান করা যায়, সে গুন ছেলেরা শেখে মায়েদের কাছ থেকে। মায়েরা ছেলেদের শেখান, কীভাবে ধীর-স্থির ও শান্তভাবে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
ভালোবাসা ও ক্ষমা
ভালোবাসা ও ক্ষমা উভয় গুণই ছেলেরা পায় তাদের মায়েদের কাছ থেকে। সন্তান কিংবা অন্য কারও ভুলের জন্য তাকে ক্ষমা করা এবং ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দেওয়াই যে জীবনে এগিয়ে চলার প্রধান হাতিয়ার, তার পাঠ ছেলেরা সাধারণত মায়ের কাছ থেকেই প্রথম পায়।
একসাথে অনেক কাজ
মায়েরা একসাথে অসংখ্য দায়িত্ব এবং ভূমিকা পালন করতে পারেন। ঘরের কাজ, বাইরের কাজ, অর্থ উপার্জন, সকলের যত্ন নেওয়া, ভালো জীবন সঙ্গিনীর দায়িত্ব সবই তারা সামলান দক্ষতার সাথে। বলাবাহুল্য মায়ের এই গুণগুলো ছেলের উপরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
অভ্যন্তরীণ শক্তি
অর্থনৈতিক সংগ্রাম হোক বা স্বাস্থ্য সমস্যা কিংবা পারিবারিক দ্বন্দ্ব যেকোনও কঠিন পরিস্থিতিতেই মায়েরা অটল থাকেন। ছেলেরা মায়েদের এই অভ্যন্তরীণ শক্তির গুণগুলো ছোটো থেকেই অনুকরণ করতে শেখে।
No comments