সাদপন্থীদের ইজতেমা মাঠ ছাড়ার নির্দেশ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা এড়াতে সাদপন্থীদের মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ উপদেষ্টার সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাদ অনুসারী দলের মুখপাত্র হিসেবে রজা আরিফ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষের ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের অনুসারীদের মাঠ থেকে চলে আসার জন্য বলা হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, জুবায়ের সমর্থকরাও যেন মাঠে প্রবেশ না করেন। এ ছাড়া সাদ অনুসারীদের মাঠ থেকে চলে যাওয়ার সময় পুলিশ যেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি জুবায়ের অনুসারীরা যেন প্রধান সড়ক থেকে সরে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে সহায়তা করেন। এদিকে দুপুর ১টার দিকে জুবায়ের অনুসারীদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে জুবায়ের অনুসারীদের মধ্যে রয়েছেন- মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা কেফায়াতুল্লাহ হাজারী, মাওলানা নাজমুল হাসান, মাওলানা রবিউল হক, প্রকৌশলী মাহফুজুল হান্নান, প্রকৌশলী মেজবাহ আহমেদ, মাওলানা ফজলুল হক, মুফতি শাহরিয়ার মাহমুদ, মাওলানা খোরশেদ আলম, মাওলানা ওমর ফারুক ও এক খাদেম।
এর আগে মঙ্গলবার গভীর রাতে ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে মাওলানা সাদ এবং জুবায়েরপন্থি অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন।
এ বিষয়ে শুরায়ে নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, রাতের আঁধারে সাদপন্থিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শুরায়ে নেজামের তাবলিগের সাঙ্গীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে শাতাধিক আহত এবং তিনজন নিহত হন। পরে তারা মাঠ দখলে নিয়ে নেন। শুরায়ে নেজামের সঙ্গীরা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কিছু সঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার মাঠ বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। নিহতরা হলেন- বাচ্চু মিয়া (৭০), তাইজুল (৬৫) ও বেলাল (৬০)।
বাচ্চুর বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামে। বেলালের বাড়ি ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকায় এবং তাইজুল বগুড়ার বাসিন্দা।
আহতরা হলেন- মোহাম্মদ ফয়সাল (১৮), আবুল কাশেম (৬০), নুর ইসলাম (৪২), আব্দুল কাদের (৫২), খোরশেদ আলম (৫০), আলাউদ্দিন (৩৫), মোহাম্মদ সাদ (২০), সালাউদ্দিন (৫০), মোহাম্মদ আলম (৫০), আব্দুল্লাহ (৫০), ফোরকান আলী (২৫), নুরুল হাকিম (৩০), মো. সাইফুল (৩৮), আশরাফ (৩৫), রিশাদ (৩০), আলী হোসেন (৩৫), আ. বাতেন (৬০), ফয়সাল (১৯), আব্দুল্লাহ (২১), মাহমুদুল হাসান (৩৫), সাঈদ (৪০), আবু হানিফ (৩৫), ইউসুফ (২৮), আনোয়ার (৫০), খলিলুর রহমান (৪৩), অজ্ঞাতপরিচয় (৬০), সালাউদ্দিন (৫৫), আব্দুল্লাহ (৬০), কামরুজ্জামান (৪৫), সাদ (২০), অজ্ঞাতপরিচয় (৫০), আব্দুল বাতেন (৫০), আবুল হাশেম (৫০), সালাউদ্দিন (৬৫)।
এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন- ফয়সাল, অজ্ঞাতপরিচয় (৬০), আব্দুল হান্নান, নুর ইসলাম, সিয়াম, রিশাদ ও অজ্ঞাতপরিচয় (৫০)।
No comments