Adsterra

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কে এই মোহাম্মদ আল-বশির

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কে এই মোহাম্মদ আল-বশির, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, banglad

তালেবান সংশ্লিষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) আক্রমণের মুখে সিরিয়া ছেড়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। বিদ্রোহীদের সমর্থনে দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোহাম্মদ আল-বশির।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়ার বেশিরভাগ মানুষের কাছে স্বল্প পরিচিত এই বিদ্রোহী নেতার রাজনৈতিক পরিচিতি ইদলিব প্রদেশের বাইরে তেমন একটা পাওয়া যায়নি। স্বৈরশাসক আসাদের শাসনামলে দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত ওই রাজ্যের বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাতে। সেখানকার বিদ্রোহীদের গঠিত সালভেশন গভর্নমেন্টের প্রশাসন পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে আল-বশিরের।

এইচটিএস পরিচালিত প্রশাসনের একটি ফেসবুক পেইজে বলা হয়েছে, সিরিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি সিরিয়ায় আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নেতৃত্ব দেওয়া ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) সংশ্লিষ্ট সালভেশন গভর্নমেন্টের নেতৃত্বে ছিলেন। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর এই সরকার যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু অংশ ও ইদলিবে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করত।

মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-বশির চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সিরিয়ান সালভেশন গভর্নমেন্টের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮৬ সালে ইদলিবের জাবাল যাওইয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সালভেশন গভর্নমেন্টের প্রকাশিত জীবনবৃত্তান্তে লেখা হয়েছে, দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন।

এছাড়াও ইদলিব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শরিয়া ও আইন বিষয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন আল-বশির। ইংরেজি ভাষা, প্রশাসনিক পরিকল্পনা এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিষয়েও তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিরোধী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনে যোগদানের আগে তিনি সিরীয় একটি গ্যাস কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেন তিনি।

পরে ২০২১ সালে সেই চাকরি ছেড়ে ইদলিবে বিদ্রোহীদের দলে যোগ দেন তিনি। ২০২২ ও ২০২৩ সালে সালভেশন গভর্নমেন্টের উন্নয়ন এবং মানবিক কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী হিসাবে কাজ করেন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইদলিব প্রশাসনের শুরা কাউন্সিল বশিরকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে।

গত জানুয়ারিতে সিরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লেভান্ত টোয়েন্টি ফোরের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করা এবং ইদলিবের বাস্তুচ্যুত মানুষের মানবিক চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আধুনিক সরকার গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করেন তিনি।

ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি  ও মানসিক স্বাস্থ্য

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দামেস্কের শাসনের বিরোধিতা করে ইদলিব প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নেয় বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। পরে সব গোষ্ঠীকে এক করে ইদলিবের নিয়ন্ত্রণ নেয় হায়াত তাহরির আল-শাম।

মঙ্গলবার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া সংক্ষিপ্ত ভাষণে মোহাম্মাদ আল-বশির বলেছেন, তিনি আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষের নেতৃত্ব দেবেন।

No comments

Powered by Blogger.