ধ্বংসের মুখে ঐতিহ্যবাহী সাপলেজা কুঠিবাড়ি
পিরোজপুরে প্রায় সোয়া ৯ একর জমির ওপর নির্মিত সাপলেজা কুঠিবাড়ি। প্রায় দুইশত বছর আগে ইংরেজ জমিদার এডওয়ার্ড প্যারি ক্যাসপার বাড়িটি নির্মাণ করেন বলে কথিত রয়েছে। স্থানীয় এক ধর্ণাঢ্যের কাছ থেকে পাওয়া উপহারের জমিতেই তার জমিদারি গড়ে ওঠে।
পিরোজপুর উপজেলা সদর উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ভূমি অফিসের পাশেই কুঠিবাড়িটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু এতো বছরেও প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদের তালিকায় স্থাপনাটির নাম ওঠেনি। শ্যাওলা আর বুনোলতায় বাড়িটির গাঁ ঢেকে গেছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এই প্রাচীন স্থাপনাটি।
জমিদার বাড়ি ঘিরে লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে, কুঠিবাড়িকে ঘিরে আনন্দ-উৎসব আর শোষণ-নিপীড়নের অজস্র গল্প মিশে আছে। সেইসব এখন অতীত হলেও কালের সাক্ষী হয়ে জরাজীর্ন কাঠামোটি দাঁড়িয়ে আছে। জেলার প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে কুঠিবাড়িটির স্বীকৃতি চান স্থানীয়রা।
স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, কুঠিবাড়িটিকে ঘিরে অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য রয়েছে। তবে বর্তমানে বাড়িটি ধ্বংসের মুখে রয়েছে। অপর একজন বলেন, বাড়িটিতে ব্রিটিশরা থাকতো। এরপর থেকে এটিকে কাচারিবাড়ি বলা হয়। একবার স্থানীয় চেয়ারম্যানের উদ্যোগে কুঠিবাড়িটি পরিষ্কার করা হয়েছিল।
কুঠিবাড়িটি সংরক্ষণ করার বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, বাড়িটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদের তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই স্থাপনাটির উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হবে। সংস্কারের পর এটি স্থানীয়দের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
এদিকে অবহেলায় পড়ে থাকা বাড়িটির শানবাঁধানো পুকুরঘাটও জৌলুসহীন। দ্রুত রক্ষনাবেক্ষণের উদ্যোগ না নিলে অবশিষ্ট ইটের গাঁথুনিও হারিয়ে যাবে।
No comments