সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার সৈকত, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বাড়ছে হকারের দৌরাত্ম্য
দিন-দিন সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ আর হকারের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ পর্যটকরা। সৈকতের এসব বিষয়ে তদারকি ঘাটতি এবং অব্যবস্থাপনা নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। তবে টনক নড়ছে না প্রশাসনের, তাদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত নেই দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ।
সরেজমিন দেখা গেছে, সৈকতের ভেতরে দেদারছে চলছে ভ্রাম্যমান হকারের দৌরাত্ম্য। যত্রতত্র অস্থায়ী দোকানপাটের ছড়াছড়িও চোখে পড়ার মতো। অথচ লাবনী থেকে কলাতলী পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সৈকতে সবসময় পর্যটকের ঢল থাকে। অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা আর নষ্ট হওয়া পরিবেশ দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় পর্যটকরা।
তারা বলছেন, অন্যান্য দেশে পর্যটন স্পটগুলোতে নির্দিষ্ট জায়গায় দোকান থাকে। তবে এখানে যে যার মতো করে দোকান বসাচ্ছে, ব্যবসা করছে। প্রশ্ন তোলেন, আইন ও আইনের প্রয়োগ নিয়েও। এমন নোংরা ও বিচ্ছিরি অবস্থা হলে পর্যটক কমে যাবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
দেখা গেছে, প্রশাসন জায়গা নির্দিষ্ট করলেও সেখানে বসেন না হকাররা। খাবার আর নানা ধরণের পণ্য বিক্রি করতে নেমে যান সৈকতে। পর্যটকরাও খাবারের উচ্ছিষ্ট, পানির বোতল ও ঠোঙা ফেলে নষ্ট করছে সৈকতের পরিবেশ। ঘোড়া এবং বিচ বাইকের যন্ত্রনায় সৈকতে হাঁটাচলা করাও দায় হয়ে যাচ্ছে পর্যটকদের জন্য।
সৈকতের ভেতরে এসে পণ্য বিক্রেতারা বলছেন, পর্যটকদের ভিড় বেশি তাই তারা সৈকতের ভেতরে গিয়ে পণ্য বিক্রি করেন। প্রশাসন আসলে তারা পালিয়ে যান, চলে গেলে আবার ফিরে আসেন বলেও সহজ স্বীকারোক্তি তাদের।
সব মিলিয়ে সৈকতের অব্যবস্থাপনা এখন চরমে। প্রশাসনের তদারকি না থাকায় হকাররাও হয়ে উঠছে বেপরোয়া।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, সৈকতের ভেতরের এমন অবস্থা আমাদের অন্যতম একটি সমস্যা। বিশেষ করে হকার ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য যারা বিক্রি করে তাদেরকে নিয়ে বেশ সমস্যায় আছেন বলেও জানান তিনি। জানান, অভিযান চলমান আছে।
No comments