জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ সাহাবি
পৃথিবী হলো পরীক্ষা কেন্দ্র। সব মানুষ পরীক্ষার্থী। এ পরীক্ষার ব্যাপ্তিকাল সারা জীবন। দুনিয়ার এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে পরকালে পাওয়া যাবে কাক্সিক্ষত জান্নাত। জান্নাতে প্রবেশ করতে পারলেই মানুষের দুনিয়ার জীবন সফল হবে। এমন কয়েকজন বিশিষ্ট সাহাবি আছেন, যারা দুনিয়াতে থাকতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। তারা কত সৌভাগ্যবান! তারা দুনিয়াতে থাকতেই মহাসফলতার সংবাদ পেয়েছেন।
রাসুল (সা.) একসঙ্গে ১০ জন সাহাবিকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তাদের বলা হয় আশারায়ে মুবাশশারা অর্থাৎ ১০ জন সুসংবাদপ্রাপ্ত। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, বিখ্যাত সাহাবি হজরত সাইদ ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘দশজন লোক জান্নাতে যাবে। (তারপর নাম ধরে ধরে এভাবে বলেছেন) আবু বকর জান্নাতি, ওমর জান্নাতি, ওসমান জান্নাতি, আলি জান্নাতি, তালহা জান্নাতি, জুবায়ের ইবনে আওয়াম জান্নাতি, আবদুর রহমান ইবনে আউফ জান্নাতি, সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস জান্নাতি, আবু উবাইদা ইবনে জাররাহ জান্নাতি।’ (অতঃপর বর্ণনাকারী সাইদ ইবনে যায়েদ (রা.) বলেন) ‘আমি কি দশম ব্যক্তির নাম বলব?’ সাহাবিরা বললেন, ‘কে তিনি?’ তিনি নীরব থাকলেন। সাহাবিরা আবার বললেন, ‘কে তিনি?’ তিনি বললেন, ‘সে হলো সাইদ ইবনে যায়েদ।’ (সুনানে আবু দাউদ)
কারও কারও ধারণা, সব সাহাবির মধ্য থেকে কেবল ১০ জন সাহাবি জান্নাতের সুসংবাদ লাভ করেছেন। তাদের এ ধারণা সঠিক নয়। এই ১০ জন ছাড়াও আরও অনেক সাহাবি হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে জান্নাতের সুসংবাদ লাভ করেছেন। এ কথা তো প্রায় সবারই জানা, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নাতি হাসান ও হুসাইন (রা.) জান্নাতের যুবকদের সর্দার হবেন এবং তাদের মা হজরত ফাতেমা (রা.) জান্নাতের নারীদের সর্দারনী হবেন। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার বলেন, ‘আজ রাতে একজন ফেরেশতা অবতরণ করেছে, যে আর কখনো আসেনি। সে আমাকে সুসংবাদ শুনিয়েছে যে, ফাতেমা হবে জান্নাতি নারীদের সর্দারনী আর হাসান ও হুসাইন হবে জান্নাতের যুবকদের সর্দার। (জামে তিরমিজি)
No comments