সিলেট সীমান্তে ১ বছরে ৭ বাংলাদেশিকে হত্যা
সিলেট সীমান্তে বাড়ছে বাংলাদেশি হত্যা। তবে ভারতের বিএসএফের গুলিতে নয়, খাসিয়াদের গুলিতে এক বছরে নিহত হয়েছেন ৭ জন। বিজিবির দাবি, চোরাকারবারিরা অন্তঃকোন্দলে জড়িয়ে বাড়ছে হত্যা।
যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতীয় খাসিয়াদেরকে কৌশলে কাজে লাগিয়ে সীমান্ত উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দরকার। মেঘালয়ের সবুজ পাহাড়ের কোল ঘেসে বাংলাদেশের সমতল ভূমি। মাঝখানে দুদেশের শূন্যরেখা। ছবির মত এই স্থান অনেক পর্যটকের কাছেই রোমাঞ্চের খোরাক। চোরাচালানিদের কাছেও অভয়ারণ্য। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সীমান্ত ঘেসা কালাইরাগ গ্রামের বাসিন্দা মালেকা বেগম।
গেল বছরের ৩ ডিসেম্বর অবৈধভাবে ভারতে যান তার স্বামী আশরাফ উদ্দিন। পরদিন ফেরে তার মরদেহ। দাবি করা হয়, মারা গেছেন মেঘালয়ের খাসিয়াদের গুলিতে। একই বছরের ১৪ জুলাই ভারতীয় অংশে গরু আনতে গিয়ে খাসিয়াদের হাতে হত্যার শিকার দয়ারবাজারের কাউছার আহমেদ। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সিলেটে সীমান্ত এলাকা কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার ও জকিগঞ্জ। এর মধ্যে চার সীমান্ত এলাকায় একবছরে প্রাণ গেছে ৭ বাংলাদেশির। যারা সবাই ভারতীয় খাসিয়াদের হাতে নিহত।
বাংলাদেশি খাসিয়া হেডম্যান বিষয়টির নিন্দা জানিয়েছেন। সিলেট বিজিবির সেক্টর কমান্ডার মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে একে অন্যের প্রতি চড়াও হচ্ছে চোরাকারবারিরা। ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, খাসিয়াদের কৌশলে কেউ কাজে লাগিয়ে সীমান্ত উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দরকার। সীমান্তে হত্যা বন্ধে ভারত-বাংলাদেশ উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে আন্তসম্পর্কে ছেদ পড়ার শঙ্কা অনেকের।
No comments