Adsterra

ছাত্রদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০

ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, banglades

প্রভাব বিস্তার ও আড়ত দখলকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া, গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসময়  দুই পক্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। 


মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষ চলাকালে ১০টি মোটরসাইকেল ও  কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের পর আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হলেন- রাফি আহমেদ স্বপন ও রাজু ভুইয়া। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহসড়ক সংলগ্ন সাওঘাট এলাকায় একটি আড়ত নিয়ে জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধানের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ী মুজিবর রহমানের বিরোধ চলে আসছিল। 


এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেলিম প্রধানের পক্ষ নেয় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান ও তার লোকজন। অন্যদিকে মজিবুর রহমান ও আড়তের ব্যবসায়ীদের পক্ষ নেয় জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলাম ও তার লোকজন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার দুই পক্ষে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।সংঘর্ষচলাকালে কয়েকজনকে পিস্তল হাতে গুলি করতে দেখা গেছে। সবশেষ যৌথ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে বীর শহিদ ও অকুতোভয় আন্দোলনকারীদের স্মরণে ও সম্মানে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নিয়ে শাহরিয়ার সোহাগ এর নতুন উপন্যাস বাংলা বসন্ত

ব্যবসায়ী মজিবুর রহমানের দাবি, সেলিম প্রধানের মালিকানাধীন ওই জমি তিনি ১০ বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে ভাড়া নেন। পরে সেখানে বালু ভরাট ও শেড নির্মাণ করে কাচাঁবাজারের আড়ত গড়ে তোলেন। বর্তমানে পেশি শক্তি খাটিয়ে আড়তটি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন সেলিম প্রধান। 


অপরদিকে সেলিম প্রধানের দাবি, ভুয়া চুক্তিনামা তৈরি করে জোর পূর্বক জমি দখল করে আড়ত গড়ে তোলেন মজিবুর রহমান। জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন-আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল করছিলাম। ওই মিছিলে অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ গুলি ও হামলা করে। 


জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তবে শুনেছি আমার লোকজনের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধসহ অনেকে আহত হয়েছে।  


সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সার্কেল মেহেদী ইসলাম বলেন, সেলিম প্রধানের সঙ্গে মুজিবুর রহমানের মধ্যে একটি আড়ত নিয়ে র্দীঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল।সংঘর্ষের পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। যেহেতু এখানে গুলিবষর্ণের ঘটনা ঘটেছে আমরা অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চালাবো। এ ঘটনা কাউকে গ্রেপ্তার যায়নি। 


উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আড়তের আসল মালিক কে সেটির জন্য আমরা উচ্চ আদালতের দারস্থ হবো।

No comments

Powered by Blogger.