Adsterra

ক্যারিয়ার গঠনে সিজিপিএ

ক্যারিয়ার গঠনে সিজিপিএ, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangladesh news

বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে বহুল ব্যবহৃত শব্দ হলো সিজিপিএ। এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর একাডেমিক সাফল্য প্রকাশ করা হয়। কেউ সিজিপিএকে গুরুত্ব দেন, আবার কেউ এটিকে জীবনের জন্য অতটা প্রয়োজনীয় মনে করেন না। ক্যারিয়ার গঠনে সিজিপিএ কতটা কাজে লাগে, এ সম্পর্কে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।


সরকারি চাকরি পেতে

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) ক্যাডার হতে সিজিপিএর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো পরীক্ষা ও ইন্টারভিউর পারফরম্যান্স। বিসিএস পরীক্ষার জন্য ন্যূনতম ২.৫০ সিজিপিএ থাকলেই আবেদন করা যায়। বিসিএস ছাড়াও সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষাসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও একাডেমিক ফলকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তবে কিছু সরকারি চাকরিতে ভালো সিজিপিএ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


ব্যাংকার হতে চাইলে

ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন অনেকেরই থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্য সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে সারা বছরই নিয়োগ কার্যক্রম চলতে থাকে। দ্রুত চাকরি পাওয়ার জন্য এবং মোটা বেতনে চাকরির জন্য ব্যাংকের খ্যাতি আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ব্যাংকে চাকরি পাওয়ার জন্য সিজিপিএর গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অনার্সে ২.৫০ সিজিপিএ থাকলেই আবেদন করা যায়। তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে সিজিপিএর গুরুত্ব রয়েছে।


বিদেশে উচ্চশিক্ষায়

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। অনেকের স্বপ্ন থাকে বিদেশের বিশ্বসেরা কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে নিজেকে একজন বিশ্বনাগরিক হিসেবে তৈরি করার। কারও যদি বিদেশে মাস্টার্স বা পিএইচডির স্বপ্ন থাকে, তাহলে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ফলকে অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ভালো সিজিপিএ থাকলে স্কলারশিপ বা ফান্ড পেতে খুবই সহায়ক হয়। একটি ভালো স্কলারশিপের জন্য সিজিপিএ-৪-এর মধ্যে ৩.৫০ রাখতে পারলে ভালো হয়।


শিক্ষক হতে চাইলে

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে আবেদন করার জন্য ভালো সিজিপিএ দরকার হয়। ভালো সিজিপিএ না থাকলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আবেদন করারই সুযোগ হয় না। ফলে নিজের দক্ষতা প্রমাণের সুযোগও হারাতে হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছাড়া স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক হতে চাইলে সিজিপিএর গুরুত্ব তেমন দেওয়া হয় না। শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অথবা নিবন্ধন পরীক্ষায় ভালো করলে তিনি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান।


গবেষক হতে চাইলে

বর্তমান বিশ্বে গবেষকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আপনি যদি নিজেকে একজন গবেষক হিসেবে দেখতে চান, তাহলে আপনার উচিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক রেজাল্ট ভালো রাখা। গবেষক হওয়ার জন্য সব ক্ষেত্রে যে হাই সিজিপিএর অধিকারী হতে হবে, এমন নয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভালো সিজিপিএ দরকার হয়। গবেষক হওয়ার জন্য সিজিপিএর পাশাপাশি ভালো করে গবেষণা শিখতে হবে। ছাত্রজীবন থেকেই শীর্ষ জার্নালগুলোতে গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করতে হবে।


স্বপ্ন যখন বিজনেসম্যান হওয়ার

গতানুগতিক চাকরি থেকে বেরিয়ে বিজনেসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার দিকে ঝুঁকছেন অনেক তরুণ। তাঁদের অনেকে চাকরিপ্রার্থী না হয়ে চাকরিদাতা হতে চান। পৃথিবীতে যত শীর্ষ ধনী আছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই একেকজন ব্যবসায়ী। ব্যবসা করা ছাড়া বৈধভাবে শীর্ষ ধনী হওয়া সম্ভব না। শীর্ষ ব্যবসায়ীদের অনেকেরই একাডেমিক ভালো রেজাল্ট বা সিজিপিএ নেই। তবে তাঁদের প্রায় সবাই বইপড়ুয়া। তাঁরা প্রচুর বই পড়েন। তাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ। তাই বিজনেসম্যান হতে চাইলে সিজিপিএ নিয়ে অত চিন্তা না করলেও চলবে।


লক্ষ্য যখন করপোরেট চাকরি

বিভিন্ন মানুষের ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য থাকে। তাই অনেকের লক্ষ্য থাকে করপোরেট চাকরিজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। করপোরেট চাকরি পেতে হলে ফ্রেশার হিসেবে সিজিপিএকে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ভালো সিজিপিএ সিভিতে এবং ভাইভা বোর্ডে ইতিবাচক ইমপ্রেশন তৈরি করে। তবে করপোরেট চাকরির ক্ষেত্রে সিজিপিএ ভালো হওয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ স্মার্ট হওয়া। বিভিন্ন সফট স্কিল থাকা। প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির স্কিল ও স্মার্টনেসকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

No comments

Powered by Blogger.