দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধির দৌড়ে বাংলাদেশ পঞ্চম। শীর্ষে ভুটান, সর্বনিম্নে পাকিস্তান
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধির দৌড়ে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ পঞ্চম অবস্থানে থাকতে পারে। প্রবৃদ্ধি অর্জনে শীর্ষে থাকবে ভুটান এবং চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকবে পাকিস্তান। অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্ব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে শ্রীলংকা। ফলে দেশটির প্রবৃদ্ধির হার নেতিবাচক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে গত বছরের মতো চলতি বছরে তা বেড়ে দাঁড়াবে সাড়ে তিন শতাংশে।
শুক্রবার রাতে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস জানুয়ারি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের হিসাবে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ৪ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে চলতি অর্থবছরে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। এ কারণে প্রবৃদ্ধি কম হতে পারে। আগামী অর্থবছরে তা বেড়ে হবে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষে থাকবে ভুটান। দেশটির প্রবৃদ্ধি চলতি বছর হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ, আগামী অর্থবছর তা কমে হবে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। গত অর্থবছরে তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
প্রবৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে ভারত। দেশটির চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ, আগামী বছর হবে একই হারে। গত অর্থবছরে তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল সাড়ে ৬ শতাংশ।
তৃতীয় অবস্থানে থাকবে নেপাল। চলতি অর্থবছর দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ১ শতাংশ, আগামী বছর তা বেড়ে দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। গত অর্থবছরে হয়েছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরে মালদ্বীপের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ, চলতি বছরেও দেশটির প্রবৃদ্ধি একই হতে পারে। আগামী বছর তা সামান্য কমে প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।
অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়া শ্রীলংকা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ২০২২ ও ২০২৩ সালে তাদের প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক। গত বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ধারায় ফিরে এসেছে। ওই বছর ৪ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। চলতি বছর প্রবৃদ্ধি হতে পারে সাড়ে তিন শতাংশ। আগামী বছর প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে ৩ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে।
চলতি অর্থবছরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হবে সর্বনিম্ন অবস্থানে। এ বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। আগামী বছর তা কিছুটা বেড়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। গত অর্থবছরে তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল আড়াই শতাংশ।
No comments