Adsterra

ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহত আরও ২১, ইয়েমেন-লেবাননেও হামলা

ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহত আরও ২১, ইয়েমেন-লেবাননেও হামলা, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangl

ফিলিস্তিনের গাজায় থামছেই ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন। সবশেষ প্রাপ্ত খবর অনুসারে, অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটি জুড়ে চলা ইসরায়েলি হামলায় আরও ২১ ফিলিস্তিনির প্রাণহানির ঘটেছে। শুধু তাই নয়, যুদ্ধবিরতি চলমান অবস্থাতেই লেবাননেও প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। একইদিন তারা আরেকটি হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবার ভোর থেকে গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হামাস উৎখাতের নামে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ৪৬ হাজারেরও বেশি নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসের এই লাগাতার হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক মানুষ।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত, গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব পাস সত্ত্বেও অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে নৃশংস হামলা-অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডটিতে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর হামলা-অভিযানের কারণে গাজা থেকে প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে বসবাস করছেন গাজার প্রত্যেকেই।

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে বীর শহিদ ও অকুতোভয় আন্দোলনকারীদের স্মরণে ও সম্মানে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নিয়ে শাহরিয়ার সোহাগ এর নতুন উপন্যাস বাংলা বসন্ত

এদিকে ইয়েমেনে হামলার ব্যাপারে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রিত স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করেছে তারা। ইসরায়েলি হামলার শিকার এই অবকাঠামোগুলোর মধ্যে রাজধানী সানার কাছে অবস্থিত একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং হোদেইদাহ ও রাস ইসার বন্দরও রয়েছে।

অন্যদিকে লেবাননের দক্ষিণে ইসরায়েলি সবশেষ বিমান হামলায় বেশ কিছু লোক প্রাণ হারিয়েছেন। অথচ, প্রাণঘাতী এ হামলার পরও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা এখনও লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি মেনে চলার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

No comments

Powered by Blogger.