নগদ টাকা পরিবহনে নিরাপত্তা দেবে পুলিশ
নগদ টাকা পরিবহনে ‘মানি এসকর্ট’ সেবা দিচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ জন্য সংশ্লিষ্ট থানা এবং পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ নিয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে আরও ১৩টি পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা থেকে এসব কথা জানানো হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বড় অঙ্কের টাকা পরিবহনে কেউ প্রয়োজন মনে করলে পুলিশ এসকর্ট সেবা গ্রহণ করতে পারেন। এ জন্য সহায়তাপ্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট থানা অথবা পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষের ২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৮৮, ০২৯৬১৯৯৯৯, ০১৩২০-০৩৭৮৪৫ ও ০১৩২০-০৩৭৮৪৬ ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে দেওয়া আরও ১৩টি পরামর্শ হলো-
১. বড় অঙ্কের অর্থ একা বহন না করা এবং একাধিক বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে সঙ্গে রাখা। অর্থ বহন–সংক্রান্ত কোনো তথ্য আগেই অন্যকে জানানো থেকে বিরত থাকা।
২. হেঁটে অথবা রিকশায় অর্থ বহনের পরিবর্তে গাড়িতে অর্থ বহন।
৩. নগদ অর্থ বহনের আগে দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কেউ দুষ্কৃতকারীদের যাতে না জানিয়ে দেয়, তা নিশ্চিত হওয়া।
৪. দৈনিক নগদ অর্থ বহনের প্রয়োজন হলে মাঝেমধ্যে ভিন্ন পথ ব্যবহার করা, যেন দুষ্কৃতকারীরা আগেই ওত পেতে থাকার সুবিধা নিতে না পারে।
৫. অর্থ বহনের সময় ব্যাগ এমনভাবে ব্যবহার করা, যেন বাইরে থেকে বোঝা না যায়। এতে দুষ্কৃতকারীরা প্রলুব্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে না।
৬. সব টাকা একসঙ্গে না রেখে পকেটে, ব্যাগে, সঙ্গীর কাছে ভাগ করে রাখা।
৭. গলিপথ কিংবা নির্জন পথ ব্যবহারের পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত ব্যস্ত সড়ক ব্যবহার করা।
৮. ট্রাফিক সিগন্যাল বা জ্যামে পড়লে অতিরিক্ত সতর্ক থাকা।
৯. সিসি ক্যামেরা আছে এমন ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করা। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর সন্দেহজনক কেউ অনুসরণ করছে কি না, তা বোঝার চেষ্টা করা।
১০. বড় অঙ্কের অর্থ পরিবহনের কাজটি রাতে না করে দিনের বেলায় সম্পন্নের চেষ্টা করা।
১১. এটিএম বুথের অভ্যন্তরে থাকা কোনো গোপন ক্যামেরায় আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত গোপন নম্বরটি ধারণ করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা।
১২. এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফারের কাজটি চেকের মাধ্যমে সম্পন্ন করা।
১৩. বড় অঙ্কের টাকা পরিবহনে প্রয়োজনে পুলিশ এস্কর্ট সেবা গ্রহণ করা।
No comments