পাকিস্তানকে বোকা বানিয়ে উড়ন্ত সূচনা নিউজিল্যান্ডের
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি সর্বোচ্চ সারতে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। যেখানে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে স্বাগতিকরা। ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রোটিয়াদের হারালেও ফাইনালসহ দুই ম্যাচেই কিউইদের কাছে পরাস্ত হয়েছে রিজওয়ানের দল।
ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানিয়ে যে কত বড় ভুল করেছে তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছে পাকিস্তান। কারণ, তাদের ঘরের মাঠের কন্ডিশন বুঝে নিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে বাবর-রিজওয়ানদের বিধ্বস্ত করে উড়ন্ত শুরু পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। আর হার দিয়ে শিরোপা ঘরে রাখার মিশন শুরু হলো পাকিস্তানের।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) আগে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ১৬ বল হাতে থাকতে ২৬০ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। এতে ৬০ রানের বড় জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পাকিস্তান। ১৯ বলে মাত্র ৪ রান করে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনা সাউদ শাকিল। ১৪ বলে ৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে ফখর জামানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন বাবর আজম।
কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি ফখর জামান। ৪১ বলে ২৪ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর বাবরকে সঙ্গ দেন সালমান আঘা। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১০০ রানের কোটা পার করে পাকিস্তান। ৮১ বলে বাবর ফিফটি তুলে নিলেও ৪২ রান করে ক্যাচ আউট হন সালমান।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি তাইয়াব তাহিরও। ৫ বলে ১ রান করে তিনি। এরপর বাবর ৯০ বলে ৬৪ রান করে আউট হলে পিচে এসেই ব্যাট চালাতে থাকেন খুশদিল শাহ। ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১৩ বলে ১৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শাহিন আফ্রিদি।
৪৯ বলে ৬৯ রান করে ৪৪তম ওভারে বাউন্ডারি লাইনে কাঁটা পড়েন খুশদিল। এতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় পাকিস্তান। শেষ দিকে হারিস রাউফ ১০ বলে ১৯ রান এবং ১৫ বলে ১৩ রান করে নাসিম শাহ আউট হলে ১৬ বল হাতে থাকতেই ২৬০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। এতে ৬০ রানের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে মিচেল স্যান্টনার ও উইলিয়াম ও'রর্কে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও ম্যাট হেনরি দুটি, নাথাম স্মিথ ও মিচেল ব্রাসওয়েল একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ং। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি কনওয়ে। ১৭ বলে ১০ রান করে বোল্ড হন এই তারকা ক্রিকেটার।
তিনে ব্যাট করতে নেমে আলো ছড়াতে পারেননি কেন উইলিয়ামসনও। ২ বলে ১ রান করে ফেরেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন ইয়ং। ২৪ বলে ১০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ড্যারিল মিচেল।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৫৬ বলে ফিফটি তুলে নেন ইয়ং। মিচেল আউট হলে লাথামকে সঙ্গে নিয়ে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান ইয়ং। ১০৭ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। অপর প্রান্ত থেকে ৬১ বলে ফিফটি তুলে নেন লাথাম।
৩৮তম ওভারে নাসিম শাহকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক রিজওয়ান। ওভারের দ্বিতীয় বলে ইয়ংকে ক্যাচ আউটের ফাঁদে ফেলেন নাসিম। এরপর লাথামকে সঙ্গ দেন গ্লেন ফিলিপস। দুজনের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যেতে থাকে নিউজিল্যান্ড।
নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে ৯৫ বলে ফিফটি তুলে নেন লাথাম। অপর প্রান্ত থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন ফিলিপসও। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। ৩৯ বলে ৬১ রান করে শেষ দিকে ফিলিপস আউট হলে লাথামের ১০৪ বলের অপরাজিত ১১৮ রানে ভর করে ৩২০ রানে বড় পুঁজি পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
No comments