পপির কষ্টের টাকা ১৪ গোষ্ঠী খেয়ে শেষ করেছে: পলি
ঢালিউডের অনিন্দ্য সুন্দরী নায়িকা সাদিকা পারভিন পপি। একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নায়িকা দীর্ঘ সময় ধরে অন্তরালে রয়েছেন। হঠাৎ করেই নিজেকে আড়াল করে নেন এই অভিনেত্রী।
প্রথম দিকে পপির এ অনুপস্থিতিকে স্বাভাবিক মনে করেছিলেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সময় যতই এগোতে থাকে ততই তাকে ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। নায়িকার আড়ালে যাওয়ার রহস্য খুঁজতে বেরিয়ে আসে তার গোপন সংসার ও সন্তান জন্মের খবর। বিয়ে করে এখন পুরোদস্তুর সংসারী পপি। শোবিজে নেই তার কারও সঙ্গে যোগাযোগ।
এদিকে, পপির বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন নায়িকার বোন ফিরোজা পারভীন। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় জিডি করা হয়।
জিডির সূত্র ধরে জানা যায়, পৈতৃক জমি দখলে নেওয়ার জন্য স্বামী আদনান উদ্দিন কামাল, কল্লোল মজুমদার, শিপনসহ সোমবার বেলা ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে সোনাডাঙ্গা থানাধীন শিববাড়ি, ভাড়াটিয়া বাড়ির সামনে হাজির হন। বাধা দিলে একপর্যায়ে ফিরোজা পারভীনসহ সবাইকে হুমকি দেন পপি ও তার স্বামী।
বিষয়টি নিয়ে পপির মা মরিয়ম বেগম বলেন, আমার মেয়েটা আগে ভালোই ছিল। কিন্তু বিয়ের পর ৫-৬ বছর ধরে স্বামীর প্ররোচনায় আমাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তার বাবার জমি দখলের চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই পপির বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় সে নিজের নামে ৫ কাঠা জমি লিখিয়ে নিয়েছেন। ওই সময় নায়ক আলমগীর সাহেব বিষয়টি সুরাহা করে দেন। এখন পপি বাকি ৬ কাঠা জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের নানাভাবে হয়রানির মধ্যে রেখেছে। এই বয়সে আমরা কোথায় যাব।
এদিকে মা-বোনের এমন বক্তব্যের জবাবে পপি বলেন, বাবা ও চাচার কাছ থেকে ৬ কাঠা জমি আমার কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে কিনেছি। কিন্তু এদের অত্যাচারের জন্য এখনো পর্যন্ত এই জমি ভোগ করতে পারিনি।
পুরো পরিবার আমার উপার্জনে সারাজীবন চলেছে উল্লেখ করে পপি বলেন, এদের শরীরের চামড়া, জামা কাপড় সব আমার পরিশ্রমের টাকায় কেনা৷ আমার পরিবারের কেউ কখনো উপার্জন করে খায়নি৷ ৯৫ সালে আমার বাবা কিন্তু এদেরকে (পরিবার) উপার্জন করে চালায়নি। আমার টাকায় চলেছে।
পপির সুরেই সুর মিলিয়েছেন তার দীর্ঘদিনের সহশিল্পী চিত্রনায়িকা রিয়ানা রহমান পলি। বুধবার (৬ ফ্রেব্রুয়ারি) দুপুরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, একজন পপি অনেক কষ্ট করে টাকা উপার্জন করেছে সেই টাকা ১৪ গোষ্ঠী মিলে কাজ না করে খেয়ে শেষ করবে, আর তার হিসেব চাইলে পপি খারাপ? সত্যিই আমরা অসহায়!
এ বিষয়ে পলি বলেন, পপি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় থেকে তার পরিবারের কারো রোজগারের পথ ছিল না। নিজের টাকায় পরিবারের জন্য তিনি সবকিছু করেছেন। এমনকি বিয়েও করেছেন দেরিতে। নিজের টাকায় তিনি অনেক জায়গা জমি কিনেছেন। এই সময় এসে পপির বিরুদ্ধে যে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে তা একেবারেই অযৌক্তিক।
বলে রাখা ভালো, পারিবারিক বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে খুলনার শিববাড়ি এলাকায় পপির বাবার ১১ কাঠা জমি। অভিযোগ অনুযায়ী, এর মধ্যে ৫ কাঠা জমি আগে থেকেই নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছেন পপি। এখন বাকি ৬ কাঠার মালিকানা পেতে তিনি মা, ভাই ও বোনদের চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও জানা যায়, পপির মা যে বাড়িতে থাকেন, সেটির বিদ্যুতের লাইনও নিজের নামে করিয়ে নিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।
No comments