টেক্স ওয়ার্ল্ড অ্যাপারেল সোর্সিং প্যারিস মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে বস্ত্র শিল্পের অন্যতম বৃহৎ মেলা ‘টেক্স ওয়ার্ল্ড অ্যাপারেল সোর্সিং প্যারিস’। গত ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে এই মেলা চলেছে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো (ইপিবি) এবং ফ্রান্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশের ২৬টি প্রতিষ্ঠান। ইউরোপীয় ফ্যাশনের তীর্থস্থান প্যারিসে এই মেলায় ২৬টি দেশের ১২০০ এর বেশি প্রদর্শক অংশ নিয়েছে। প্যারিসের লে বুরগেটে অনুষ্ঠিত এই শীতকালীন প্রদর্শনীতে হাজারো দর্শনার্থীর ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছিল মেলার পরিবেশ।
এই মেলায় বিশ্বের বস্ত্র শিল্পের বড় বড় উদ্যোক্তারা অংশ নিয়েছেন নতুন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান খুঁজতে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোও এই মেলায় অংশ নিয়ে নতুন ক্রেতা খুঁজতে চেষ্টা করেছে। চীন, ভিয়েতনাম, ভারত এবং তুরস্কের মতো দেশগুলোর প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের পণ্য প্রদর্শন করে নতুন বাজার তৈরির চেষ্টা করেছে।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত বস্ত্র শিল্পে তাদের নতুন অগ্রগতি এবং উদ্ভাবনী পণ্য তুলে ধরতে এই মেলায় অংশ নিয়েছে অ্যারন ডেনিম লিমিটেড, হুরাইন এইচটিএফ, এনজেড ডেনিম, সারা ফ্যাশনওয়্যার, কেবিএল এবং নেক্সজেন অ্যাপারেল। এছাড়াও, এশিয়া লিংক ডিজাইন, ফ্ল্যাশ অ্যাপারেলস, প্যাসিফিক স্পোর্টস এবং কোয়ালিটি অ্যাপারেলসের মতো আরও কয়েকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহায়তায় মেলায় অংশ নিয়েছেন। মেলার উপস্থিত ছিলেন আয়োজক মেসে ফ্রানকফুর্টএর হেড অব অপারেশনস, বাংলাদেশ, রুম্মানা আফরোজ।
মেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের বাণিজ্য মন্ত্রী মো. মিজানুর রহমান। তিনি বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে সফল হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে এই ধরনের আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন মেলায় আগত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গুলো স্টল ঘুরে দেখেন এবং ভবিষ্যতে এই মেলা নিয়ে তার পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
এছাড়াও, চীন, তুরস্ক, ভারত এবং পাকিস্তানের মতো প্রধান পোশাক উৎপাদনকারী দেশগুলোর শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোও এবারের আসরে অংশ নিয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি এই মেলার পর্দা নামে। মেলা কর্তৃপক্ষ এবারের মেলায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে বলে জানিয়েছে। এই মেলা বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্পকে বিশ্বব্যাপী আরও পরিচিতি দিতে এবং নতুন বাজার সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
No comments