বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক। এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে কেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছ, বড়পুকুরিয়ার কয়লা ব্যবহার করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে আসছে। তিনটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ইউনিট মিলে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ২৫০ মেগাওয়াট। ৩ নম্বর ইউনিট ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতাসম্পন্ন।
জানা গেছে, এর মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। শুধু সচল ছিল ১ নম্বর ও ৩ নম্বর ইউনিট; যা থেকে প্রায় ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হতো। তবে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় গত শনিবার ৩ নম্বর ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। চালু ছিল শুধু ১ নম্বর ইউনিটটি। সেই ইউনিটে বয়লারে ছিদ্র (লিকেজ) হওয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে মঙ্গলবার বিকেলে একমাত্র সচল ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। এতে উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের শঙ্কা রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটের বয়লারের পাইপে লিকেজ হয়। পরে ইউনিটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে শনিবার ৩ নম্বর ইউনিটিও একই কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১ নম্বর ইউনিট আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা সচল করতে পারব বলে আশা করছি। ৩ নম্বর ইউনিট আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সচল করা সম্ভব হবে।
No comments