Adsterra

দেশে স্বামীর মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার ৭০ শতাংশ নারী

দেশে স্বামীর মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার ৭০ শতাংশ নারী, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangladesh n

নারী নির্যাতন, শব্দটা মনে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক বিভীষিকাময় চিত্র। যা সংবাদপত্রের পাতায় প্রায়ই ঘুরে-ফিরে আসে। নতুন খবর হলো, দেশের ৭০ শতাংশ নারী জীবদ্দশায় অন্তত একবার হলেও স্বামীর মাধ্যমে শারীরিক, যৌন, মানসিক এবং অর্থনৈতিক সহিংসতার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণের শিকার হন। আর গত ১২ মাসে ৪১ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অডিটোরিয়ামে ‘নারীদের ওপর সহিংসতা শীর্ষক জরিপ ২০২৪’-এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) অর্থায়নে বিবিএস ও ইউএনএফপিএ যৌথভাবে এ জরিপ পরিচালনা করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অধিকাংশ নারী তাদের জীবনসঙ্গী বা স্বামী কর্তৃক সহিংসতার শিকার। দেশে জীবনসঙ্গীর দ্বারা সহিংসতা এখনও ব্যাপকভাবে বিদ্যমান, যা লাখ লাখ নারীর জীবনে গভীর প্রভাব ফেলছে।

জরিপে নারীদের ওপর চার ধরনের সহিংসতার তথ্য তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে— শারীরিক সহিংসতা, যৌন, অর্থনৈতিক এবং মনস্তাত্ত্বিক সহিংসতা।

এতে আরও বলা হয়, সহিংসতার শিকার নারীদের মধ্যে মাত্র ৭ দশমিক ৪ শতাংশ নারী আইনের আশ্রয় নেন। বাকি ৯৩ দশদিক ৬ শতাংশ নারী এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেন না। এ ছাড়া সহিংসতার শিকার ৬৪ শতাংশ নারী তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সহিংসতার কথা কখনও কারও সঙ্গে শেয়ারই করেন না।

পরিবারের সুনাম রক্ষার আকাঙ্ক্ষা, সন্তানদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উদ্বেগ এবং এ ধরনের সহিংসতা স্বাভাবিক বলে মনে করার প্রবণতাসহ বিভিন্ন কারণ থেকে মূলত এ নীরবতা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা এতটাই প্রকট যে প্রায় ৭০ শতাংশ নারী তাদের জীবদ্দশায় অন্তত একবার হলেও শারীরিক, যৌন, মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন। গত ১২ মাসে ৪১ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

এই পরিসংখ্যানগুলো জাতিসংঘের মানসম্পন্ন পরিমাপের ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যা বিশ্বব্যাপী নারীর প্রতি সহিংসতার বিস্তার পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

২০২৪ সালের নারীর প্রতি সহিংসতা জরিপের মূল ফলাফল উপস্থাপন করেন বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক ইফতেখাইরুল করিম। জরিপটি তৈরিতে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে দেশের ২৭ হাজার ৪৭৬ জন নারীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। জরিপের সময়কাল ছিল ২১ দিন।

বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওই মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মমতাজ আহমেদ, এনডিসি এবং পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার।

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে বীর শহিদ ও অকুতোভয় আন্দোলনকারীদের স্মরণে ও সম্মানে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নিয়ে শাহরিয়ার সোহাগ এর নতুন উপন্যাস বাংলা বসন্ত

এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মাসাকি ওয়াতাবে এবং অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ক্লিনটন পবকে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.