এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিশ্চিত বাংলাদেশের
নেপালকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে সিরিজ শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে পরের দুই ম্যাচে দুর্দান্তভাবে জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। এতে এক ম্যাচ হাতে থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পল্টন ময়দানে চতুর্থ ম্যাচে নেপালকে ৪৯-২৪ পয়েন্টে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের ছয় মিনিটে প্রথম লোনা পায় বাংলাদেশ। তিন মিনিট পর দ্বিতীয় লোনা পেয়ে ম্যাচে আরও এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
প্রথমার্ধে ১৩ পয়েন্টের ব্যবধানে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। ৩১ পয়েন্ট ছিল বাংলাদেশের। আর নেপালের সংগ্রহে ছিল ১৮ পয়েন্ট। দ্বিতীয়ার্ধেও দারুণ উজ্জীবিত বাংলাদেশ। স্বাগতিকরা শুরুতে আরও দুটি লোনা পাওয়ায় অনেক পিছিয়ে যায় নেপাল। সেখান থেকে আর খেলায় ফিরতে পারেনি তারা।
তবে এই হারের জন্য বাজে আম্পায়ারিংকে দায়ী করেছে নেপাল কোচ। তিনি বলেন, পুরো সিরিজ জুড়ে বাজে আম্পায়ারিং হয়েছে। নেপালে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ আমরা ৫-০ তে জিতব।
সিরিজের ট্যাকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল হক আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন, হুইসেল এবং রেইডারের হাত একই সময় স্পর্শ করেছে। এজন্য সংশয় তৈরি হয়েছে। রেফারেলে দেখা গেছে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে রেইডার হাত সেন্টার লাইনে স্পর্শ করেছে।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের খেলোয়াড় রেইড দেয়। তখন স্কোরলাইন বাংলাদেশ ৩৫ ও নেপাল ১৯। নেপালের খেলোয়াড়েরা বাংলাদেশের রেইডারকে ঘিরে ধরে৷ অন্যদিকে বাংলাদেশের রেইডার সেন্টার হাফে হাত স্পর্শ করেছেন এবং হুইসেলও বেজেছে। নেপালের দাবি আগে হুইসেল বেজেছে এবং বাংলাদেশের খেলোয়াড়ের রেইড শেষ হয়েছে।
আর বাংলাদেশের দাবি রেইড থাকাবস্থায় নিজেদের কোর্টে হাত স্পর্শ হয়েছে। রেফারেলে বাংলাদেশের পক্ষে সিদ্ধান্ত যায় এবং নেপালের তিন খেলোয়াড় বাংলাদেশের খেলোয়াড়কে স্পর্শরত থাকায় বাদ পড়েন।
আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়ে কোর্ট ছাড়ে নেপাল৷ মিনিট দশেক খেলা বন্ধ থাকে৷ এরপর স্রেফ সম্মানার্থে নেপাল কোর্টে ফেরে যদিও খেলায় সেই অর্থে মন ছিল না৷ তাই খেলার পর নেপালের একাধিক খেলোয়াড় রাগ উগরে দেন।
তাদের ভাষ্য, আমাদের বিপক্ষে অনেক ফাউল হলেও গণ্য করা হয়নি। যে ঘটনায় মাঠ ত্যাগ করা হয়েছিল সেই ঘটনা আমাদের পক্ষেই সিদ্ধান্ত আসার কথা।
আগামী শুক্রবার পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটি শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মিজানুর রহমান। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক দুই খেলোয়াড় আমির হোসেন পাটোয়ারী ও সুবিমল চন্দ্র দাস।
No comments