চিন্ময়ের অনুসারী চিকিৎসক ফের রিমান্ডে
চট্টগ্রামের হাজারী গলিতে যৌথবাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় চিকিৎসক কথক দাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এবার তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ডা. কথক দাশ ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরিফুল ইসলাম শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এর আগে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কথক দাশ। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাজারী গলি মিয়া শপিং সেন্টার নামের একটি মার্কেটের একটি দোকানের মালিক ওসমান মোল্লা ফেসবুকে হিন্দুদের ধর্মীয় সংগঠন ইসকনকে নিয়ে ‘ব্যঙ্গাত্মক’ পোস্ট করেন। তা নিয়ে গত বছরের ৫ নভেম্বর স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে বিক্ষুব্ধরা রাতে দলবেঁধে মার্কেটের সামনে জড়ো হয়ে দোকানটি ঘিরে ফেলে। পরে পুলিশ গিয়ে পোস্টদাতা ওসমানকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সে সময় তারা পুলিশকে ধাওয়া করে বলে অভিযোগ ওঠে। বিক্ষুব্ধরা সে সময় যৌথবাহিনীর সদস্যদের দিকে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে এবং ওপর থেকে অ্যাসিডও নিক্ষেপ করা হয়।
এ ঘটনায় পরের দিন রাতে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
ডা. কথক দাশ ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার সময় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত হলে কথক দাশকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর তাকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
৬ ফেব্রুয়ারি সকালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় আনা হয় কথক দাশকে। ওইদিন নগরের নিউমার্কেট এলাকায় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
No comments