Adsterra

চা দ্বিতীয়বার গরম করার প্রভাব

চা দ্বিতীয়বার গরম করার প্রভাব, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangladesh

চা পুনরায় গরম করে পান করার ক্ষতিকর প্রভাবের কথাও শোনা যায়।


চা দ্বিতীয়বার গরম করার প্রভাব

কাজে ব্যস্ত হয়ে চা ঠাণ্ডা করে ফেলা সাধারণ ঘটনা। কেউ তখন ওই ঠাণ্ডা চা ফেলে দেন, কেউ আবার পুনরায় গরম করে আনেন। গরম করায় পানীয়টুকু অপচয় হল না, জ্বালানি খরচ কমলো কমলো ‘কার্বন ফুটপ্রিন্ট’।

তবে চা পুনরায় গরম করে পান করার ক্ষতিকর প্রভাবের কথাও শোনা যায়।

তাহলে কোনটা করা উচিত হবে? খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হল বিস্তারিত।  


ফোটানো বনাম ভেজানো

চা বানানোর ক্ষেত্রে প্রায় সবখানেই চা পাতা চুলায় থাকা ফুটন্ত পানিতে দিয়ে ফোটানো হয়। দুধ চায়ের ক্ষেত্রে দুধ ও চিনির সঙ্গে একত্রে ফুটানো হয়। তবে এই পদ্ধতিতে চা পাতার স্বাদ ও পুষ্টিগুণ কমে যায়।

বরং ফুটন্ত পানি বা দুধ চুলা থেকে নামিয়ে তাতে চা পাতা দিয়ে তিন থেকে চার মিনিট রেখে দেওয়া ভালো পদ্ধতি।

আর চা পাতা একবার ফুটালেই যদি স্বাদ ও পুষ্টি হারায়, তবে সেই চা আবার গরম করলে কী থাকবে তা নিজেই বুঝে নিন।


চা দ্বিতীয়বার গরম করলে যা হয়

চা গরম করা সহজ হলেও তাতে হারাবে সামান্য স্বাদ, সুবাস ও পুষ্টিগুণ। কক্ষ তাপমাত্রায় চার ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় চা ফেলে রাখা হলে তা আবার গরম করে পান করা উচিত হয়। সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ মিনিট ফেলে রাখা চা পান করা নিরাপদ।

কারণ লম্বা সময় ফেলে রাখলে চায়ে বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়। আর চিনি মেশানো দুধ চায়ে ব্যাক্টেরিয়ার বংশবিস্তার হয় তুলনামূলক দ্রুত গতিতে। তাই ফেলে রাখা দুধ চা আরও বেশি ক্ষতিকর।

শুধু গরম করলেই এই ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস হয় না। আর তা পান করলে ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, বমিসহ অন্যান্য হজমজনীত সমস্যা দেখা দিতে পারে।    

অপরদিকে ভেষজ কিংবা ফলের ‘ফ্লেইভার’ মিশ্রিত চা দ্বিতীয়বার গরম করলে তার উপকারী গুণগুলোর অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি এই ধরনের চায়ে থাকা ‘এসেন্সিয়াল অয়েল’ এবং ‘লাবাইল’ নামক উপাদান উচ্চ তাপমাত্রায় নষ্ট হয়ে যায়। 



স্বাদ নষ্ট

চায়ের রং ও স্বাদের পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করে ‘ট্যানিস’ নামক এক ধরনের ‘পলিফেনল’ ধরনের উপাদান। হাঁড়িতে চা লম্বা সময় ফেলে রেখে পরে তা আবার গরম করলে চায়ে অতিরিক্ত ‘ট্যানিস’ মিশে যায়, যে কারণে চা তেতো লাগে।


যদি গরম করতেই হয়, তবে সঠিক পদ্ধতি

একটি বড় পাত্রে পানি ফুটাতে হবে। এবার ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া চা একটি মগে নিয়ে ওই ‍ফুটন্ত পানির ওপর তিন থেকে চার মিনিট রেখে কুসুম গরম করে নিতে হবে। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘ডাবল বয়লার’।


ঠাণ্ডা ভেষজ চায়ের ভিন্ন ব্যবহার

খাবার কিংবা পানীয় কোনোটাই অপচয় করা উচিত নয়। তাই ভেষজ চা যদি ঠাণ্ডা হয়ে যায় তো সেটা ফেলে না দিয়ে গাছের গোড়ায় ঢেলে দিতে পারেন। চায়ের পুষ্টিটুকু গাছের শেকড়ের মাধ্যমে শোষিত হবে। এই চা দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। কারণ ভেষজ যথেষ্ট কার্যকর জীবাণুনাষক এবং তেল চিটচিটি ভাব দূর করে। কড়াইতে পুড়ে লেগে যাওয়া যেকোনো কিছু পরিষ্কার করতেও এই চা ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুধ চা দিয়ে কিন্তু এসব হবে না।


ডা. আবিদা সুলতানা, (এমবিবিএস)
জেনারেল প্রাকটিসার, সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতাল লিঃ
মেডিসিন, চর্মরোগ, বাত-ব্যাথা, শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ।
লেকচারার, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.