আওয়ামী লীগ নিয়ে হাসনাতের বক্তব্যে যা বলছে দলগুলো
'ক্যান্টনমেন্ট থেকে' আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে সদ্য আত্মপ্রকাশ করা দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ যে অভিযোগ করেছেন, তা নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। রাজনৈতিক দলগুলো থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। বর্তমানে সক্রিয় দলগুলোর মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের কথায় ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ পেয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, "গণহত্যা ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত নন, এমন কারও নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোনও বাধা নেই।"
মি. রিজভীর বক্তব্যে বিএনপির অবস্থানের এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, বিকল্প নেতৃত্ব নিয়ে আওয়ামী লীগ ফিরলে , তাতে তাদের আপত্তি থাকবে না।
তবে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ভিন্ন অবস্থান দেখা যাচ্ছে। দলটির আমির শফিকুর রহমান বিষয়টি নিয়ে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, "আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না।"
জামায়াতের আমিরের বক্তব্য এনসিপি'র হাসনাত আব্দুল্লাহর অবস্থানকে সমর্থন করে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। অন্য দলগুলোর মধ্যেও ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে।
উল্লেখ্য, হাসনাত আব্দুল্লাহ বৃহস্পতিবার ২০শে মার্চ মধ্যরাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে দাবি করেন, সেনাবাহিনী থেকে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে, যাতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয়।
বিষয়টিকে তিনি "রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ" নামে "নতুন একটি ষড়যন্ত্র" হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং দলগুলো শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে– সেনাবাহিনী থেকে গত ১১ই মার্চ এমনটাই তাকে জানানো হয়েছে বলে স্ট্যাটাসে দাবি করেছেন মি. আব্দুল্লাহ।
তার স্ট্যাটাসে যেহেতু একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রসঙ্গ এসেছে, তাই তার এই দাবির বিষয়টি নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ'র নিজের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এমনকি আওয়ামী লীগের সাথেও কথা বলেছে বিবিসি বাংলা।
একইভাবে, এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া কী, তা জানার চেষ্টাও করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা আজ শুক্রবার সকালে জানায়, হাসনাত আব্দুল্লাহ'র স্ট্যাটাসের ব্যাপারে তাদের কোনও বক্তব্য নেই।
No comments