Adsterra

রাজধানীতে গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীতে গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangladesh news

রাজধানীর একটি বাসা থেকে তাহিয়া তাসনিম (১৯) নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে লালবাগের বিসি দাস স্ট্রিটের একটি ভবনের নবম তলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সোয়া ১২টার দিকে ওই গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত তাহিয়া তাসনিম বিসি দাস স্ট্রিটের ভবনটির বাসিন্দা মো. তাজুল ইসলামের মেয়ে।

নিহতের বাবা তাজুল ইসলাম বলেন, এক বছর আগে তাহিয়া ও সাগরের বিয়ে হয়। পরে তাহিয়া জানতে পারে তার স্বামী আগেও বিয়ে করেছিল এবং পরবর্তীতে ওই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তাহিয়াকে বিয়ে করেছে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ হলে একপর্যায়ে তাহিয়া শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে আমার (বাবার) বাড়িতে চলে আসে।

নিহতের বাবা আরও বলেন, গত মঙ্গলবার আমার মেয়ের স্বামীর পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। যদি সমাধান না হয়, তাহলে যেন ডিভোর্স দিয়ে দেয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। আমার মেয়েকে হত্যা করা হলো।

তাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন তাহিয়া বাসায় একা ছিল, তার মা কর্মস্থলে ছিল। আমি নামাজে যাওয়ার আগে মেয়েকে বলে গিয়েছিলাম, কেউ আসলে দরজা যেন না খোলে। কিন্তু তার স্বামী দারোয়ানকে ডেকে দরজা খুলে ভেতরে ঢোকে। পরে রাত সাড়ে দশটার দিকে বাসায় ফিরে দেখি, খাটের পাশে মেয়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। মুখে ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল।

তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারি, সাগর তাকে মেরে পালিয়েছে। পরে রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, আমার মেয়ে আর বেঁচে নেই।

এ বিষয়ে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যাশৈনু গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তাহিয়ার স্বামী বাসায় আসেন। ভেতর থেকে দরজা না খুললে, তিনি দারোয়ানকে নিয়ে দরজার সামনে যান। পরে তাহিয়া দরজা খুললে দারোয়ান স্বাভাবিকভাবে নিচে চলে যান।

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে বীর শহিদ ও অকুতোভয় আন্দোলনকারীদের স্মরণে ও সম্মানে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নিয়ে শাহরিয়ার সোহাগ এর নতুন উপন্যাস বাংলা বসন্ত। অর্ডার করতে ক্লিক করুন

তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৫ মিনিট পর তার স্বামী বাসা থেকে বেরিয়ে যান। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের বাবা বাসায় এসে দেখেন, রুমের দরজা ভেতর থেকে আটকানো। দরজা খুলে তিনি দেখেন, মেয়েটি মেঝেতে পড়ে আছে, আর ফ্যানের সঙ্গে একটি ছেঁড়া ওড়না ঝুলছে।

ওসি বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য ওই নারীর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

No comments

Powered by Blogger.