মাদকসেবন দেখে ফেলায় চোখ উপড়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা
যশোর শহরের বকচরে হাতের আঙুল দিয়ে এক ব্যক্তির দুই চোখ উপড়ে দেওয়ার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তার সাদ্দাম হোসেন (২৮) আক্রান্ত ব্যক্তির শ্যালিকার ছেলে। তালাক দেওয়া স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের কারণে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে পুলিশ।
যশোর শহরের বকচরে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় শহিদুল ইসলাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তির চোখ উপড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তাকে ওই রাতেই যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এ সময় তার স্ত্রী হাসনা হেনা জানিয়েছিলেন, মাদক সেবন দেখে ফেলায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
কিন্তু গতকাল বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, তালাক দেওয়া স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের কারণে সাদ্দাম তার আপন খালু শহিদুল ইসলামের চোখ উপড়ে দিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে বকচরের করিম ফিলিং স্টেশনের পাশে কবরস্থান সড়কের আল-আমিনের মুদি দোকানের সামনের রাস্তায় সাদ্দাম শহিদুল ইসলামকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে তার বুকের ওপর বসে ডান হাতের দুই আঙুল দিয়ে দুই চোখ উপড়ে দেন। এ সময় শহিদুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে সাদ্দাম পালিয়ে যান। এ সময় শহিদুলকে নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। তিনি আরও জানান, নৃশংস এ ঘটনার খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অপরাধীকে শনাক্ত করে। এরপর অভিযান চালিয়ে যশোর শহরের পালবাড়ী খয়েরতলা মোড় থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম জানিয়েছেন, খালু শহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার তালাক দেওয়া স্ত্রী প্রিয়া খাতুনের শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে চোখ দিয়ে খালু প্রিয়ার দিকে তাকান তা তিনি উঠিয়ে ফেলবেন। সে অনুযায়ী সাদ্দাম এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
সাদ্দাম হোসেন বকচর বিহারি কলোনির শাহ জামাল ওরফে শাহ আলমের ছেলে। অন্যদিকে আক্রান্ত শহিদুল ইসলাম একই এলাকার কবরস্থান পাড়ার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
No comments