নফল আমলের গুরুত্ব
ইবাদতের বসন্তকাল রমজান। এ মাসে ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি ভালো কাজ করল অথবা একটি নফল আদায় করল, সে যেন অন্য মাসের একটি ফরজ আদায় করল। আর রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি ফরজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসের ৭০টি ফরজ আদায়ের সওয়াব লাভ করল।
রমজান মাসে প্রতিদিন বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া, কোরআন তেলাওয়াত করা, জিকির-আজকার করা, দান-খয়রাত করা, সামর্থ্য থাকলে ওমরাহ করা, দরুদ শরিফ পড়া, অধীনস্তদের ভার-বোঝা কমানো, অসহায়কে সহযোগিতা করা, আর্তপীড়িতের সেবা করা, রোগীর খোঁজখবর রাখা, মানুষের সঙ্গে হাসিমুখে কুশলাদি বিনিময় করা, সর্বোপরি সবার সঙ্গে সদাচরণ করা কাম্য। নফল ইবাদতের ইবাদতের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হতে পারে। এতে মহান আল্লাহ বান্দাকে ভালোবেসে চাহিবামাত্র সবকিছু দান করেন। রাসুল (সা.) বলেন, আল্লাহতায়ালা বলেছেন, আমি যা কিছু আমার বান্দার ওপর ফরজ করেছি, শুধু তা দ্বারাই কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। বরং আমার বান্দা সর্বদা নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমনকি একপর্যায়ে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নেই যে, আমি তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমি তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে। আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। (এমতাবস্থায়) সে যদি আমার কাছে কিছু চায়, তবে অবশ্যই তাকে তা দান করি। (সহিহ বুখারি)
রমজানে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া কাম্য। সাধারণত দেখা যায়, অনেকের অনেক ফরজ নামাজ কাজা থেকে যায় বা অনেকে মাঝ বয়সে এসে নামাজ শুরু করেন। কিন্তু আগের ছুটে যাওয়া নামাজগুলোর কাজা আর আদায় করেন না। অথচ মহান আল্লাহর কাছে সেসব নামাজের ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে হিসাব দিতে হবে। এ রকম অবস্থায় যদি রমজান মাসে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা যায়, তাহলে তা ছুটে যাওয়া ফরজের ঘটাতি পূরণে সহায়ক হবে, যখন মহান আল্লাহ বান্দাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য উছিলা খুঁজবেন।
No comments