দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ সময়
দোয়া মুমিনের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। এর অনেক ফজিলত রয়েছে। হাদিসে এসেছে, দোয়া হলো ইবাদতের মগজ। (তিরমিজি) দোয়ার দ্বারা কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তির ভাগ্যও পরিবর্তন হয়ে থাকে। যেমন রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কেবল দোয়াই তকদির পরিবর্তন করতে পারে এবং নেক আমলই হায়াত বৃদ্ধি করে। (মুসতাদরাকে হাকেম) এমন কিছু সময় আছে যখন দোয়া করলে দোয়া কবুল করা হয়। তা উল্লেখ করা হলো।
জুমার দিন : জুমার দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যখন বান্দা যা চায় তাই কবুল করা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিনে এক বিশেষ মুহূর্ত আছে, কোনো মুসলমান সে সময় দোয়া করলে তা অবশ্যই কবুল হয়। (সহিহ বুখারি) এ সময়টি কখন সেই বিষয়ে কতিপয় আলেম বলেছেন, জুমার আজানের সময় হতে জুমার নামাজের শেষ সময় পর্যন্ত। অনেকের মতে, জুমার দিন সূর্যাস্তের পূর্ব মুহূর্তের সময়।
সাহরি ও ইফতারের সময় : সাহরির সময় যে দোয়া করা হয় তা মহান আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয়। সাহরি তথা শেষ রাতের ইবাদত আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয়। রাসুলুল্লাহ বলেছেন, আমাদের প্রতিপালক প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আমার কাছে দোয়া করবে, আমি কবুল করব। কে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (সহিহ বুখারি) এমনিভাবে ইফতারি সামনে রেখে আজানের পূর্বে যে দোয়া করা হয় তা আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ন্যায়পরায়ণ শাসকের, রোজাদারের ইফতারের সময় এবং মজলুমের দোয়া। (তিরমিজি)
আজানের সময় : হাদিসে এসেছে, আজানের পর দোয়া করলে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। (সুনান আবু দাউদ)
ফরজ নামাজ শেষে : আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘কোন দোয়া সবচেয়ে বেশি শোনার যোগ্য (অর্থাৎ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি)? তিনি বললেন, রাতের শেষ তৃতীয়াংশে এবং ফরজ নামাজের পরে।’ (তিরমিজি)
No comments