Adsterra

ল্যাপটপ কোলে নিয়ে কাজ করলে হারাতে পারেন পুরুষত্ব

 

ল্যাপটপ কোলে নিয়ে কাজ করলে হারাতে পারেন পুরুষত্ব, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangladesh,

প্রযুক্তির কাজই হলো আমাদের কাজকে সহজ করে দেয়া। তারই ধারাবাহিকতায় ল্যাপটপের আগমন। আরামে শুয়ে-বসে কাজ করার জন্য ল্যাপটপ রয়েছে বেশিরভাগেরই পছন্দের তালিকায়। কোলের উপর ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করার অভ্যাসও অনেকের। ইংরেজি শব্দ ‘ল্যাপ’ এর অর্থ হলো কোল। সেখান থেকেই ল্যাপটপ শব্দের উৎপত্তি।

একটু আরামের জন্য আপনি ল্যাপটপ কোলে তুলে কাজ করতেই পারেন। কিন্তু এমন নিরীহ অভ্যাসেই রয়েছে মুশকিল। তবে এই সমস্যা শুধু পুরষের ক্ষেত্রে, নারীর ক্ষেত্রে ল্যাপটপ কোলে নিয়ে কাজ করতে কোনো বাধা নেই। এটি পুরুষের যৌনজীবন সংক্রান্ত সমস্যা।

নারী-পুরুষের শারীরিক মিলনের পর অসংখ্য শুক্রাণু ডিম্বাশয়ের দিকে ছুটতে থাকে। শেষপর্যন্ত বলিষ্ঠতম শুক্রাণুটিই ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়ে নতুন প্রাণের জন্ম দেয়। এখন, ডিম্বাশয় নারীর শরীরের ভেতরে থাকলেও, শুক্রাশয় পুরুষের শরীরের বাইরে থাকে। এর একটি কারণ, পুরুষের শরীরের বাকি অংশের তাপমাত্রার থেকে সবসময় ২ ডিগ্রি কম থাকে শুক্রাশয়ের তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রার হেরফের ঘটলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শুক্রাণু। শুক্রাণু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মানে সন্তান উৎপাদনে সমস্যা দেখা দেওয়া। তাই শরীরে কোনো রোগ না থাকলেও ল্যাপটপ কোলে কাজ করলে কমে যাচ্ছে সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা।

ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় এর নিচের অংশ থেকে তাপ নির্গত হয়। সেই তাপেই ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শুক্রাণু। ল্যাপটপ কোলে নিয়ে কাজ করার ফলে ল্যাপটপ থেকে নির্গত তাপ বাইরে বেরতে পারে না। ঠিক কতক্ষণ ল্যাপটপ কোলে নিয়ে কাজ করা বিপজ্জনক নির্দিষ্ট করে বলে দেয়া সম্ভব নয়। কারণ একেক কোম্পানির ল্যাপটপ থেকে নির্গত তাপের পরিমাণ একেকরকম।

জানা গেছে, দৈনিক মোটামুটি এক ঘণ্টার বেশি ল্যাপটপ কোলে নিয়ে কাজ করলেই বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পুরুষরা সাবধান হোন, ল্যাপটপের জন্য ছোট টেবিল বা ডেস্কের ব্যবস্থা করুন। না পারলে বিছানায় রেখেই কাজ করুন, কিন্তু কোলে নিয়ে কাজ করতে যাবেন না যেন। তাহলে হারাতে পারেন আপনার মূল্যবান পুরুষত্ব। 


ডা. আবিদা সুলতানা, (এমবিবিএস)
জেনারেল প্রাকটিসার, সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতাল লিঃ
মেডিসিন, চর্মরোগ, বাত-ব্যাথা, শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ।
লেকচারার, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.